উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সামাজিক-শৃংখলা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি তরুণ প্রজন্মকে প্রাণশক্তি উল্লেখ করে বলেন, তরুণরাই সমাজ পরিবর্তনের প্রধান হাতিয়ার।
ছোট ছোট পাহাড়, পাহাড়ের গা বেয়ে উঁচু-নিচু রাস্তা, সবুজের সমারোহ ঘেরা প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্যের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ সমাবর্তনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মোহাম্মদ আবদুল হামিদ।
এবারের আয়োজন যে কোনো সময়ের চাইতেই বৃহৎ পরিসরে, কেন না এ বছরই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি, এমফিল, স্নাতক ও স্নাতকোত্তরসহ ডিগ্রিপ্রাপ্ত হলেন সাত হাজার একশ’ পঁচানব্বই জন গ্রাজুয়েট।
বিভিন্ন অনুষদের ডিনদের ঘোষণার পর রাষ্ট্রপতি নবীণ গ্র্যাজুয়েটদের ডিগ্রি প্রদানের ঘোষণা দেন। শিক্ষাজীবনে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখা শিক্ষার্থীদের হাতে সনদ তুলে দেন রাষ্ট্রপতি।
নবীণ গ্র্যাজুয়েটদের অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, সমাবর্তনের মধ্যে দিয়ে একদিকে যাতে গ্র্যাজুয়েটের অর্জনকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়া হয় তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ও তার কাজের সামগ্রিক মূল্যায়নের সুযোগ পায়।
তিনি বলেন, তোমাদের এই পর্যায়ে আনতে সমাজ ও রাষ্ট্রের অনবদ্য অবদান রয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস ও প্রত্যাশা তোমরা ভবিষ্যতে তোমাদের জ্ঞান ও পাণ্ডিত্যের ইতিবাচক ব্যবহার করবে।
গবেষণাকে উচ্চ শিক্ষার প্রধান অনুষঙ্গ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি উচ্চশিক্ষার মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীত করতে গবেষণা বাড়ানোর ওপর জোর দেন।
বলেন, দেশকে উন্নত করতে হলে দেশের তরুণদের শিক্ষায়, বিজ্ঞানে আরো বেশি উন্নত করতে হবে। তারাই দেশের প্রাণশক্তি। উন্নয়নের হাতিয়ার। তথ্য প্রযুক্তিতেও তাদের উন্নত না করলে কোনো অগ্রগতি সম্ভব হবে না।
সমাবর্তন বক্তা হিসেবে দিকনির্দেশনা মূলক বক্তৃতা করেন প্রফেসর এ্যামিরেটাস অধ্যাপক ডক্টর আনিসুজ্জামান।