গঙ্গা ব্যারাজ নির্মিত হলে এর পানি সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ও বনজ সম্পদ রক্ষার কাজে ব্যবহৃত হবে।
জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে পানি সম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদের পক্ষে প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম আরো বলেন, এই ব্যারাজটি নির্মিত হলে গঙ্গানির্ভর এলাকায় ১২৩টি আঞ্চলিক নদীতে পানিপ্রবাহও অক্ষুণ্ন রাখা হবে।
তিনি আরো বলেন, দেশের বরেন্দ্র অঞ্চলের পানি সমস্যার সমাধানসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নদীসমূহে নাব্যতা সৃষ্টি, লবণাক্ততা হ্রাস, গ্রাউন্ড ওয়াটারে রিচার্জ, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ প্রতিবেশ ও পরিবেশ উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার গঙ্গা ব্যারাজ সমীক্ষা প্রকল্প গ্রহণ ও তা সম্পন্ন করার মাধ্যমে প্রকল্পের প্রস্তুতি শুরু করেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত গঙ্গা ব্যারাজের ভারতীয় অংশে প্রভাব নিরূপণের জন্য ৮ সদস্যের ভারতীয় কারিগরি দল গত বছরের ২৪ থেকে ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশ সফর করে। উভয় দেশের কারিগরি দল প্রস্তাবিত গঙ্গা-পদ্মা ব্যারাজ প্রকল্পের সাইট পরিদর্শন ও বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রস্তাবিত ব্যারাজ প্রকল্প সম্পর্কিত টেকনিক্যাল সাব-গ্রুপ ইতোমধ্যে গঠিত হয়েছে।
তিনি জানান, টেকনিক্যাল সাব-গ্রুপের কার্যপরিধির বিষয়ে যৌথ নদী কমিশনের মাধ্যমে উভয় দেশের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।
গঙ্গা ব্যারাজ নির্মিত হলে গঙ্গানির্ভর এলাকায় ১২৩টি আঞ্চলিক নদীতে পানিপ্রবাহ অক্ষুণ্ন রাখা সম্ভব হবে উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম বলেন, জলাধারের পানি প্রকল্প এলাকায় সারা বছর সেচ, মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন, জলবিদ্যুৎ উৎপাদন, নৌ-পরিবহন, লবণাক্ততা নিয়ন্ত্রণ, জলাবদ্ধতা নিরসন এবং প্রকল্প এলাকায় প্রাকৃতিক ভারসাম্য পুনরুদ্ধারসহ সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ও বনজ সম্পদ রক্ষার কাজে ব্যবহৃত হবে।