অস্ট্রিয়ান ক্লাব রেডবুল সলজবুর্গ থেকে চার বছরের চুক্তিতে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডে এসেছেন আর্লিং হালান্ড। চুক্তির সময় তার এজেন্ট মিনো রাইওলা জানিয়েছিলেন, বছর দুয়েকের মধ্যে নতুন ঠিকানা খুঁজে নেবেন নরওয়ের ‘বিস্ময়বালক’। ফুটবল বিশ্বে আলোচনার খোরাক দিচ্ছে তার দলবদলের বার্তা।
গত দুই মৌসুম বুরুশিয়ার হয়ে নজরকাড়া পারফর্ম দিয়ে আলোড়ন তুলেছেন হালান্ড। চলতি মৌসুমে ১৩ ম্যাচে করেছেন ১৭ গোল। ট্রান্সফার মার্কেটে চাহিদার শীর্ষে এনেছেন নিজেকে।
হালান্ডকে দলে টানতে ইউরোপের জায়ান্ট ক্লাবগুলো অর্থের বস্তা নিয়ে লাইন ধরে আছে। তাকে ধরে রাখতে পিছু হটছে না ডর্টমুন্ডও। কিন্তু হালান্ড কী চাচ্ছেন? নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকারের সামনে দুটি পথ, ইউরোপের নামি-দামি ক্লাবে খেলে খ্যাতি কুড়ানো, অথবা বিশাল অঙ্কের অর্থে ডর্টমুন্ডেই থেকে যাওয়া।
চেলসি থেকে শুরু করে রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার সিটি-লিভারপুল, কে নেই হালান্ডের পথ চেয়ে। দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে পিএসজি, বায়ার্ন মিউনিখও। নেহাত আর্থিক সংকটে থাকায় বার্সেলোনাই যা একটু পিছিয়ে।
ডাচ-ইতালিয়ান ফুটবলারের এজেন্ট রাইওলা অবশ্য তালিকাটা ছোট করে দিচ্ছেন। সম্ভাব্য চারটি ক্লাবে চোখ তার। রাইওলা ও হল্যান্ডের বাবা আলফ ইনজে সেই ক্লাবগুলোর সঙ্গে যোগাযোগও শুরু করে দিয়েছে। হালান্ডের জন্য পাঁচ বছরের চুক্তি আর ৪০০ মিলিয়ন ইউরো হাঁকছেন তারা।
গত বছর ডর্টমুন্ডে যোগ দেন হালান্ড। জাত চেনাতে যখন সময় লাগেনি, দাম তো হাঁকবেনই। আর চাহিদাটাও নেহাত কম তো নয়। বুন্দেসলিগায় অভিষেক ম্যাচে বদলি নেমেই করেছিলেন হ্যাটট্রিক। সামর্থ্যের ঝলক দেখিয়ে হয়ে উঠেছেন আক্রমণভাগের কেন্দ্রবিন্দু। লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো পরের প্রজন্মের সুপারস্টার বলা হচ্ছে। অনেকেই দেখছেন জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের ছায়াও।
দুই আসরে দুর্দান্ত খেলে ডর্টমুন্ডকে শীর্ষ পর্যায়ে টেনে নেয়া হালান্ডকে ধরে রাখতে মরিয়া ক্লাব কর্তৃপক্ষ। বিশাল অঙ্কের বেতন-বোনাসের প্রস্তাব রেখেছেন। হালান্ডের এজেন্ট যদিও স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন, আসছে মৌসুমে ইউরোপের কোনো বড় ক্লাবে পা পড়তে চলেছে হালান্ডের। এখন দেখার হালান্ড কী বেছে নেন।