চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

খোকনের বাসায় আফরোজার মিষ্টি নিয়ে টক-ঝাল-মিষ্টি

মির্জা আব্বাসের পরাজয় নিশ্চিত জেনে আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস বাসায় মিষ্টি পাঠিয়েছেন বলে দাবি করেছেন ঢাকা দক্ষিণে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী সাঈদ খোকন। তবে আফরোজা আব্বাসের দাবি, বিজয়ের মিষ্টি নয়; নামাজ পড়তে সাঈদ খোকনের বাসায় যাওয়ার সময় তিনি মিষ্টি নিয়ে গিয়েছিলেন।

শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে কামরাঙ্গির চর এলাকায় স্বামী মির্জা আব্বাসের হয়ে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন আফরোজা আব্বাস। মাগরিবের নামাজের সময় তিনি কাছেই সাঈদ খোকনের আদি বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হন।

পরের বর্ণনাটা তিনি দিয়েছেন এভাবে: আযান হয়ে গিয়েছিলো। নামাজ পড়তে হবে। কাছেই যেহেতু সাঈদ খোকনের বাসা তাই সেখানেই চলে যাই। আমি জানতাম যে সাঈদ খোকন থাকবেন না, কারণ তিনি প্রচারে ব্যস্ত আছেন। কিন্তু সাঈদ খোকন যে ওই বাড়িতেই থাকেন না, বনানীতে থাকেন সেটা জানা ছিলো না। সেখানে গিয়ে তার চাচা-চাচীর সঙ্গে দেখা হয়। বেশ কয়েকবার সাঈদ খোকনকে ফোন করি। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। পরে আমি নামাজ আদায় করে শুভেচ্ছা বিনিময় করে চলে আসি।

সাঈদ খোকন এ ব্যাপারে বলেছেন, এখন তিনি মির্জা আব্বাসের বাড়িতে যাবেন না। ‘আমি আশা করছি, বিজয়ের পর মিষ্টি নিয়ে চাচা-চাচী (মির্জা আব্বাস-আফরোজা আব্বাস)কে পা ছুঁয়ে সালাম করতে যাবো (ইনশাল্লাহ)।

তবে মিষ্টি নিয়ে তাদের সব কথাই মিষ্টি-মিষ্টি ছিলো না। কিছুটা টক-ঝালও আছে সেখানে।

আফরোজা আব্বাস যে বেশ কয়েক প্যাকেট মিষ্টি নিয়ে তার বাড়িতে গিয়েেছিলেন, সে ব্যাপারে সাঈদ খোকন বলেন. তার মনে হচ্ছে বিজয়ের আগাম শুভেচ্ছা জানাতেই আফরোজা আব্বাস তার বাড়িতে মিষ্টি নিয়ে গিয়েছিলেন। ১৯৯৪ সালে মির্জা আব্বাসের বিপক্ষে তার বাবা মোহাম্মদ হানিফের মতো তিনিও (সাঈদ খোকন) বিজয়ী হবেন বলে সাঈদ খোকন আশাবাদী।

তবে আফরোজা আব্বাস বলেছেন, তিনি বিজয়ের কোনো আগাম শুভেচ্ছা জানাতে যাননি। তিনি সাঈদ খোকনের বাড়িতে গিয়েছিলেন যাতে একটা সুস্থ পরিবেশ থাকে, সবাই মিলেমিশে কাজ করতে পারে।

তবে তিনি অভিযোগ করেছেন, বিএনপি কর্মীদের ঠিকমতো কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ‘আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নানাভাবে সমস্যা করছে।’ সুষ্ঠু নির্বাচনের এখন পর্যন্ত কোনো আলামত নেই বলেও দাবি করেন আফরোজা।

সাঈদ খোকন অভিযোগ নাকচ করে বলেছেন, ব্যালটের মাধ্যমে ভোটাররা বিএনপির মানুষ পোড়ানো রাজনীতির জবাব দেবে।  পাল্টা কিছু অভিযোগও এনেছেন তিনি।

ঢাকা দক্ষিণে প্রধান দুই দলের প্রার্থী এভাবে একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করলেও নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙছেন মিলে মিশে। সকাল ৯টায় গোপীবাগে মির্জা আব্বাসের পক্ষে আফরোজা আব্বাস মাইক বাজিয়ে ভোট চাইছিলেন। অথচ নিয়ম অনুযায়ী দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মাইক ব্যবহারের নিয়ম।

একইভাবে সকাল ১১টায় কামরাঙ্গিরচর এলাকায় মাইক বাজছিল আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাঈদ খোকনের পক্ষে।