‘আমাদের এবং প্রতিপক্ষের দিক থেকে প্রতিটি খেলাই স্থগিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একই ইস্যুতে প্রতি সপ্তাহে সবার ক্ষেত্রেই এমনটা (ম্যাচ স্থগিত) হচ্ছে। তবে আমরা অবশ্যই প্রস্তুতি রেখে খেলার জন্য চিন্তা করছি।’
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে রোববার টটেনহ্যাম হটস্পাররের বিপক্ষে ম্যাচ মাঠে গড়ানো নিয়ে এমন করেই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন মিকেল আর্তেতা। আর্সেনাল কোচ তুলে ধরেছেন নিজের অবস্থান।
করোনায় আক্রান্ত হওয়া ও চোট সমস্যার কারণে গানারদের হাতে খেলার মতো ফিটনেস থাকা ফুটবলার সংখ্যা এখন মাত্র ১২ জন। স্বাভাবিকভাবেই আর্তেতা নর্থ লন্ডন ডার্বি হওয়া নিয়ে সন্দিহান।
ইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো দলে ন্যূনতম একজন গোলরক্ষকসহ মোট ১৪ ফুটবলারের খেলার জন্য উপযুক্ত থাকতে হয়, তবেই সূচি অনুযায়ী মাঠে গড়াতে বাধ্য থাকে ম্যাচ। সম্প্রতি কিছু ক্লাব করোনা ও চোট সমস্যার কারণে সেই নিয়মের ভেতর থাকতে না পারায় কয়েকটি ম্যাচ স্থগিত হয়েছে।
গত রাতে কারাবাও কাপে লিভারপুলের বিপক্ষে ম্যাচের সামান্য আগে মিডফিল্ডার মার্টিন ওডেগার্ড করোনা পজিটিভ হন, গানাররা বিপদে পড়ে যায়। সেড্রিক সোরেস ও বুকায়ো সাকা ম্যাচের মাঝে চোটে পড়ায় তুলে নিতে বাধ্য হন আর্তেতা। গ্রানিত জাকা লাল কার্ড পাওয়ায় পরের ম্যাচে খেলতে পারবেন না।
সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ১০ জনের দল নিয়েও শক্তিশালী লিভারপুলকে রুখে দেয়ায় আর্সেনাল কোচ উৎফুল্ল, পাশাপাশি স্পারদের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে প্রকাশ করেছেন উৎকণ্ঠা।
‘আমরা ৯-১০ জন খেলোয়াড় ছাড়াই খেলতে এসেছি। জানি না আগামী দিনে কী হতে চলেছে। তাই সেদিকে তাকাচ্ছি না। এটাকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে চাই না। আমাদের খেলতে হবে। এটাই আমাদের কাজ এবং এটা আরও কঠিন পরিস্থিতিতে পরিবর্তন ঘটাতে পারে। হাতে যা খেলোয়াড় আছে তা নিয়েই খেলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। রোববার খেলতে নামার চেষ্টাই করবো।’