চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

খেলা চলাকালীন সতীর্থকে মেরে নিষিদ্ধ হচ্ছেন শাহাদাত

১০ ক্রিকেটার নিয়ে খেলছে ঢাকা

জাতীয় লিগের ম্যাচ চলাকালীন সময়ে সতীর্থ ক্রিকেটারের গায়ে হাত তুলেছেন শাহাদাত হোসেন রাজিব। ম্যাচের শেষ দুইদিন বহিষ্কার করা হয়েছে ঢাকা বিভাগের এ পেসারকে। গুরুতর অপরাধের শাস্তি হিসেবে আসতে পারে ক্রিকেট থেকে বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞার খড়গ।

রোববার বিকাল ৩টার দিকে শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে খুলনা ও ঢাকা বিভাগের ম্যাচ চলাকালীন ঘটনাটি ঘটান শাহাদাত। পরে দিনের খেলা শেষে দুই ফিল্ড আম্পায়ারের রিপোর্টের ভিত্তিতে ম্যাচ রেফারি তাকে ম্যাচের বাকি দুই দিনের জন্য সাসপেন্ড করেন। এই সময়ে ঢাকা বিভাগ তার পরিবর্তে কোনো অতিরিক্ত খেলোয়াড়ও মাঠে নামাতে পারবে না। ফলে ১০জন নিয়েই খেলতে হচ্ছে শুভাগত হোমের দলকে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দেয়া তথ্য থেকে জানা গেছে, রোববার ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে লংঅফে ফিল্ডিং করছিলেন শাহাদাত, তার পাশেই ছিলেন আরাফাত সানি জুনিয়র। বোলিং করছিলেন মোহাম্মদ শহীদ। এসময় শাহাদাত বল ঘষে উজ্জ্বল করার জন্য আরাফাতকে বলেন। আরাফাত সেটি পারবেন না বা পারছেন না বলে জানান।

এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন শাহাদাত, সঙ্গে সঙ্গেই সতীর্থের দিকে তেড়ে যান। আরাফাতকে ধরে ধাক্কা দেন। এক পর্যায়ে তাকে লাথিও মারেন। পরে অন্য ক্রিকেটাররা এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। মাঠে অখেলোয়াড়সুলভ আচরণের পরও খেলা চালিয়ে যান শাহাদাত।

পরে দিনের খেলা শেষে ম্যাচ রেফারি আখতার আহমেদ সিপার এমন ঘটনায় ম্যাচের বাকি দুই দিনের জন্য শাহাদাতকে বহিষ্কার করেন। ঢাকা বিভাগের কোচ মো. সেলিম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, তাকে বাকি দুই দিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে আমাদের জানানো হয়েছে। রাতেই তাকে আমরা ঢাকা ফেরত পাঠিয়েছি।

জানা গেছে, ক্রিকেটের আইনের ৪২ ধারা অনুসরণ করে শাহাদাতকে শাস্তি দেয়া হয়েছে। লেভেল ফোর অফেন্স করেছেন এ ক্রিকেটার। এ ধরনের অপরাধ করলে ওই খেলোয়াড়কে তাৎক্ষণিকভাবে মাঠ থেকে বের করে দেয়ার নিয়ম। যদিও আইসিসির নতুন নিয়ম তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োগ করতে পারেননি ম্যাচ অফিসিয়ালরা।

ম্যাচ থেকে বহিষ্কার হওয়া শাহাদাতের সামনে ঝুলছে আরও বড় শাস্তির খড়গ। ম্যাচ রেফারি তার প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন ঢাকায় টেকনিক্যাল কমিটি প্রধানের কাছে। বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, এই ধারা ভাঙলে ১ বছর থেকে আজীবনও পর্যন্ত নিষিদ্ধ হতে পারেন কোনো খেলোয়াড়।