খুলনা সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্যে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ে পড়েছে ডুমুরিয়া উপজেলার কয়েকটি গ্রাম। বর্জ্য গ্রামে ঢুকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, বিষক্রিয়ায় মারা যাচ্ছে গবাদি পশু। হুমকির মুখে পড়েছে ১০ গ্রামের ১২’হাজার একর জমির কৃষি উৎপাদন ও মাছ চাষ। দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন সিটি মেয়র।
দীর্ঘদিন ধরে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ৭টি ওয়ার্ডের বর্জ্যে চরম ভোগান্তিতে ফেলেছে ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের দুই লক্ষাধিক বাসিন্দাকে। ময়লা-আবর্জনার মারাত্মক দুর্গন্ধ ছাড়াও নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে ওই এলাকার মানুষ। একইসাথে মারা যাচ্ছে হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল ও অন্য প্রাণী।
এলাকাবাসী বলেন, দূষিত পানির কারণে আমাদের হাঁস-মুরগী মারা যাচ্ছে। আমাদের বসবাস করতে সমস্যা হচ্ছে।
শহরের নালা-নর্দমার তরল বর্জ্য খালবিল, চিংড়ি ঘের এবং পুকুরে ঢুকে পড়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছে মাছ চাষীরা। বর্জ্যের বিষাক্ততায় মারাত্মক হুমকির মুখে ১২’হাজার একর চাষবাদ জমি।
এলাকাবাসীরা জানান, আমরা যারা মৎস চাষী আছি, আমাদের মৎস চাষে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
পরিকল্পিতভাবে বর্জ্য পরিশোধন ও বিকল্প ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর ও কৃষি বিভাগ।
খুলনার পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি এ ক্ষেত্রে অনুরোধ করবো সিটি কর্পোরেশন সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থা আছে তাদের সহায়তা নিয়ে এ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা গেলে জনগণ সুস্থভাবে বসবাস করতে পারবে।
খুলনার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আব্দুল লতিফ বলেন, আমাদের মাঠ কর্মীদের দিয়ে সরজমিনে তদন্ত করে দেখার পর, সেখানে কিছু করণীয় থাকলে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করবো।
সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্যে সৃষ্ট সমস্যার দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন সিটি মেয়র।
খুলনা সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আনিসুর রহমান বিশ্বাস বলেন, যেহেতু এ কাজটি আমরা গত বছর করতে পারি নাই, তাই এ শুস্ক মৌসুমে পুরো মহানগরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থাকে সচল করার জন্য আমি নির্দেশ দিয়েছি।
গৃহস্থালি, শিল্প ও ক্লিনিক্যাল বর্জ্য যাতে খুলনার গুটুদিয়া গ্রামে প্রবাহিত হতে না পারে সেজন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।