দানিয়েল সুজিত বোস, খুলনা প্রতিনিধি: খুলনার উপকূলীয় অনেক এলাকায় এবার প্রথমবারের মত বোরো ধানের চাষ হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চলের অনাবাদী ও লবণাক্ত প্রায় ৫’লাখ হেক্টর জমি বোরো চাষের আওতায় আনা সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন সরকারি বেসরকারি সহায়তা।
খুলনাসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষি জমি রক্ষায় ষাটের দশকে উপকূলীয় বাঁধ ও পোল্ডার নির্মাণ করা হয়। এর ফলে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুরসহ উপকূলীয় এলাকার আবাদযোগ্য জমিতে লবণপানির তীব্রতা বেড়ে যায়।
এতে অনাবাদী হয়ে পড়ে প্রায় ৫’লাখ হেক্টর কৃষি জমি। এবার সিডর-আইলাসহ নানা প্রাকৃতিক দূযোর্গে ক্ষতিগ্রস্থ খুলনার দাকোপের কামারখোলা-সুতারখালী এলাকায় বোরো চাষের উদ্যোগ নেয় সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
কৃষি বিভাগ জানাচ্ছে, কৃষকদের প্রশিক্ষণ, লবণাক্ততা সহনশীল সঠিক জাতের বীজসহ উপকরণ ও সেচ সহায়তা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৫’লাখ হেক্টর জমি বোরো চাষের আওতায় আনা গেলে বদলে যাবে উপকূলীয় অঞ্চলের আর্থ সামাজিক অবস্থা।
কৃষি বিভাগের হিসাব, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুরসহ উপকূলীয় এলাকার আট জেলায় আবাদযোগ্য জমি রয়েছে প্রায় ১১’লাখ হেক্টর। এরমধ্যে বোরো মৌসুমে আবাদ হয় মাত্র ৬’লাখ হেক্টরে।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: