আগামী বছরের জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডে বসবে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ। তার প্রস্তুতি হিসেবে ভারতে ত্রিদেশীয় সিরিজে অংশ নেওয়ার কথা ছিল টাইগার যুবাদের। কিন্তু ভারত সিরিজ আয়োজনে রাজি না হওয়ায় বিসিবির হাই-পারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটের ক্রিকেটারদের সঙ্গে ম্যাচ খেলেই প্রস্তুতি সারবেন সাইফ-আফিফরা।
এইচপির ২৪ ক্রিকেটারের মধ্যে ১৬ জন আছেন অস্ট্রেলিয়া সফরে। বাকি আট ক্রিকেটারের সঙ্গে নতুন করে এইচপি ক্যাম্পে ডাকা হয়েছে আরও ছয় ক্রিকেটারকে। এইচপি ইউনিট ও বাংলাদেশ যুবদলের মধ্যে তিনটি ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে।
১৩, ১৫ ও ১৭ জুলাই হবে ম্যাচগুলো। এইচপির মূল দল দেশে ফিরলে তাদের সঙ্গে আরও পাঁচটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরেছেন যুবা টাইগারদের অস্ট্রেলিয়ান কোচ ড্যামিয়েন রাইট। তার অধীনে আগামী শুক্রবার থেকে মিরপুরে শুরু হবে ক্যাম্প।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলে থাকা ক্রিকেটারদের প্রতিভাবান উল্লেখ করে ড্যামিয়েন বলেন, ‘স্কোয়াডে যে ক্রিকেটাররা আছে তারা সবাই প্রতিভাবান। এদের মধ্যে ছয়-সাতজন ক্রিকেটারকে খুবই ভালো মনে হয়েছে। ম্যাচ খেললে তাদের সামর্থ্য জানা যাবে। আশা করি ছেলেরা নিজেদের তুলে ধরবে।’
২০১৬ সালে বাংলাদেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত যুববিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ। তখন দলের টেকনিক্যাল পরামর্শক ছিলেন স্টুয়ার্ট ল। এবারও যুবাদের দেখভালের দায়িত্বে আরেক অস্ট্রেলিয়ান। তবে এবার যুবাদের লড়তে হবে বিরুদ্ধ কন্ডিশনে।
যুব দলের সহকারী কোচ আব্দুল করিম জুয়েল বলেন, ‘বিশ্বকাপের আগে আমরা চাইছি বেশ কিছু প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার। ২০-২৫টা ম্যাচ খেলতে পারলে বিশ্বকাপে ভালো কিছু করতে পারবে ওরা। যত ম্যাচ খেলবে ওদের আত্মবিশ্বাস তত বাড়বে।’