খুলনায় একদিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এ সময় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬ জন। সংক্রমণের হার দিন দিন বাড়ছে।
মৃতরা হলেন- মোংলার আব্দুল জলিল সরদার (৭০), খুলনার রুপসার সায়রা বেগম (৬৮) এবং খুলনা মহানগরীর দৌলতপুরের জিল্লুর রহমান (৬৫)।
এ নিয়ে খুলনায় করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. মেহেদী নেওয়াজ জানান, খুমেকের পিসিআর মেশিনে ১৮৮ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৪৬ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। যার মধ্যে খুলনা মহানগরী ও জেলার ৩৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এ ছাড়া বাগেরহাটের সাতজন, যশোরের দুইজন, সাতক্ষীরার দুইজন, বরিশালের একজন এবং বরগুনার একজন রয়েছে।
বুধবার সকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মেলনকক্ষে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক প্রধান অতিথি ছিলেন। সভায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোঃ কামাল হোসেন এবং খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ইসমাইল হোসেন অনলাইনে যুক্ত ছিলেন। খুলনাতে সার্বিকভাবে করোনা নিয়ন্ত্রণে জনবসতিপূর্ণ এলাকা এবং জনসমাগমের স্থানসমূহ বিবেচনায় নিয়ে মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে করোনা সংক্রমণের আধিক্য বিবেচনায় রূপসা উপজেলা, খুলনা সদর, সোনাডাঙ্গা এবং খালিশপুর থানায় জরুরি সেবা ব্যতিত সকল দোকান এবং জনসমাবেশের স্থান ৪ জুন থেকে আগামী এক সপ্তাহ বন্ধ থাকবে।
রূপসা উপজেলাসহ খুলনা মহানগরীতে সন্ধ্যার পর দোকানপাট বন্ধ রাখা, হোটেলগুলোতে লোকসমাগম নিয়ন্ত্রণ এবং যত্রতত্র একাধিক লোকের উপস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় ব্যবস্থা নেবে। এসময় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে মোবাইলকোর্টের মাধ্যমে জরিমানা আদায়, স্বাস্থ্যবিধি পালনে মনিটরিং জোরদার করা এবং প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতে প্রচার-প্রচারণা চলমান থাকবে।
এছাড়া খুলনা মহানগরীর সদরে সংক্রমণ হার শতকরা ৩৫, খালিশপুরে ২৫ এবং সোনাডাঙ্গাতে এই হার শতকরা ১৭। অন্যান্য স্থানে সংক্রমণের হার নিন্মগামী ।