ম্যাচ জয়ের জন্য ২২ বলে ৩৪ রানের প্রয়োজন ছিল খুলনার টাইগার্সের। উইকেটে তখনও রয়েছেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। সময় গড়ানোর সাথে সাথে চাপ বৃদ্ধি করে খুলনা। ম্যাচের ১৯তম ওভারের শেষ বলে মুশফিক দায়সারা শট নিয়ে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরলে ১৮ রানের জয় পায় ফরচুন বরিশাল।
এ জয়ে ৪ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচ নাম্বারে অবস্থান সাকিব আল হাসানের দলের।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু পায় বরিশাল। ২.৩ ওভারে ২৬ রানের মাথায় বোল্ড হয়ে ফিরেন জ্যাক লিনটট (১১ রান)। অপরপাশে তখন শুরু হয় আসা-যাওয়ার পালা। একপাশ আগলে ৩৪ বলে ৪৫ রান করেন ইউনিভার্স বস গেইল। ৬ চার আর ২ ছক্কায় সাজান তার ইনিংস।
দলীয় ৭৯ রানে গেইল ফিরলে আরও ধীর হয়ে যায় বরিশালের রান তোলার গতি। শান্ত ১৫ বলে করেন ১৯ রান। ব্যর্থ হন সাকিব আল হাসান। ৬ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ৯ রান। শেষের দিকে ধুঁকতে থাকা বরিশাল ৯ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৪১ রান।
খুলনা টাইগার্সদের হয়ে দুর্দান্ত দিন পার করেন লঙ্কান পেসার থিসারা পেরেরা। ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে নেন দুইটি উইকেট।
ছোট লক্ষ্যে শুরুতেই দুই ওপেনার অ্যান্ডে ফ্লেচার ও সৌম্য সরকারের উইকেট হারিয়ে চাপে পরে খুলনা। এরপর মাহেদি হাসান ও রনি তালুকদার এসে দৃঢ় গতির ব্যাটিংয়ে চাপ সামালদেন। এরপর অধিনায়ক মুশফিক ইয়াসির আলি রাব্বিকে নিয়ে লক্ষ্যের পিছনে ছুটলেও তা ছিল যথেষ্ট দৃঢ় গতির। এরপর রাব্বি ফিরলেও মাঠে ছিলেন মুশি। পেরেরা এসে ঝড় তুললে ম্যাচে ফিরে খুলনা। এরপর শাফিকুলের বলে পেরেরা ফিরে গেলে ম্যাচ জমিয়ে তুলে বরিশাল। রানার বলে মুশির সহজ ক্যাচ তালুবন্দী করতে না পারলেও একই ওভারে ফেরেন ফরহাদ রেজা ও মুশি। ৩৫ বলে ৪০ করে মুশি ফিরলে ১৮ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় খুলনাকে।
মেহেদি হাসান রানা ফিরিয়েছেন খুলনার ৪ ব্যাটারকে।