টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। শুরুর বিপর্যয়ের পরও বড় স্কোরের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল তার দল। শেষ পর্যন্ত বড় আর করতে পারেনি।
সোমবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় খেলায় খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ১৮.৫ ওভারে ১৪৫ রানে অলআউট হয়ে গেছে সাকিবের দল।
ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন ডোয়াইন ব্রাভো আর ক্রিস গেইল। তুলতে পারেননি ক্যারিবীয় ঝড়, ছুঁতে পারেননি দুই অংকের ঘর।
ব্রাভোর দুই চারের মারে যদিও ছিল ঝড়ের পূর্বাভাস। পেসার খালেদ আহমেদের লেন্থ বলে ব্যাটের কানায় লেগে সরাসরি জমা পড়ে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে। তাতে ৫ বলে ৯ রানে থামে ব্রাভোর ইনিংস।
গেইলও মেরেছিলেন একটি চার, সেটি তার একমাত্র স্কোরিং শট। খালেদের গুড লেন্থে পড়া বলে ভুল শট খেলেন। ফলাফল উড়ে যায় অফ স্টাম্প।
৫ রান করা তৌহিদ হৃদয়ের রান আউটে আরও বিপদে পড়ে বরিশাল। পয়েন্ট অঞ্চলে বল ঠেলে রান নিটে চাইলে তাকে ফিরিয়ে দেন সাকিব। পয়েন্টে থাকা ফিল্ডার ইয়াসির আলি বল কুড়িয়ে মুশফিকের মাথার উপর দিয়ে ওভার থ্রো করেন।
হৃদয় আবারো রান নেয়ার চেষ্টা করলে স্কয়ার লেগে থাকা কামরুল ইসলাম রাব্বি দ্রুততার সঙ্গে ফিল্ডিং করেন। সাকিব কয়েক পা আগানোর পর হৃদয়কে ফেরালেও তিনি দাগের বাইরে থাকা অবস্থায় মুশফিক বল নিয়ে স্টাম্প ভেঙে দেন।
২৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা বরিশালকে ম্যাচে ফেরাতে চেষ্টা করেন সাকিব। টি-টুয়েন্টিতে অনেকদিন পর তার ব্যাটে দেখা গেল আগ্রাসী রূপ। পাঁচে নামা নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে গড়লেন ৭৯ রানের বড় জুটি।
বড় স্কোরের দিকে থাকা বরিশাল অবশ্য সাকিবের বিদায়ে সেই পথে আগাতে পারেনি। ২৭ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৪১ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে মি. অলরাউন্ডার রাব্বির শর্ট লেন্থে করা স্লোয়ারে পুল করেন। মিড উইকেটে থাকা ইয়াসির ক্যাচ নিলে থামেন সাকিব।
অধিনায়কের পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি শান্তও। থিসারা পেরেরার অফ কাটারে শট খেলে কাউ কর্নারে ইয়াসিরের তালুবন্দি হন। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে ৪০ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় আসে ৪৫ রান।
জিয়াউর রহমান ৮ রান তুলে খালেদের বলে বোল্ড হন। ৬ রান করে রান আউট হন ইরফান শুক্কুর। পেসার রাব্বির লো ফুলটসে নুরুল হাসান সোহান লং অনে ফরহাদ রেজার হাতে ধরা পড়েন। করতে পারেন ১০ রান।
১৯তম ওভারে মেহেদী হাসান রানা ও মুজিব উর রহমানের উইকেট পান রেজা। ৭ বল বাকি থাকতেই অল আউট হয় বরিশাল।
খরুচে হলেও খালেদ আহমেদ খুলনার হয়ে তুলে নেন ৩ উইকেট। ৪ ওভারে তিনি রান দেন ৪১। রেজা ও রাব্বি দুটি ও পেরেরা পান একটি উইকেট।