সেন্ট্রাল আমেরিকার সবচেয়ে ছোট এবং সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ এল সালভাদর। একপাশে অসীম প্রশান্ত মহাসাগরের নৈসর্গিক সৌন্দর্যের দেশটিতে চলমান অস্থিরতা বিভীষিকাময়। বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে রক্তাক্ত সংঘাতে প্রতিদিনই দেশটিতে গড়ে নিহত হয় ১০ জন। জাতিসংঘের মতে, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি খুনের হার এই দেশে।
মাদক ব্যবসা, চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজির মতো অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অন্ধকারে নিমজ্জিত দেশটির জন্য তাহলেতো এটা খবর বটেই-“কোন হত্যাকাণ্ড ছাড়াই ২৪ ঘন্টা পার হয়েছে”। বিভিন্ন গ্যাংয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব সংঘাতে জর্জরিত এল সালভাদর। মধ্য আমেরিকার এই দেশটি এমন ‘শান্তিপূর্ণ’ একটি দিন অতিবাহিত করে বুধবার, যা একেবারেই বিরল। বিবিসির সূত্রে জানা গেছে এই তথ্য।
এল সালভাদরের পুলিশের পক্ষ থেকে খুনবিহীন একদিন পার করার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। তবে হঠাৎ করে এমন আকাঙ্খিত এক দিন কিভাবে আসলো তার কোন ব্যাখ্যা দেয়নি তারা। এই গ্যাংগুলোর সাথে কোন বিতর্কিত সমঝোতায় আসার বিষয়টিও উড়িয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ।
চলতি বছর জুড়ে দেশটিতে গড়ে প্রতিদিন ১০ জন খুন হয়েছে। স্থানীয়ভাবে ‘মারাস’ নামে পরিচিত অপরাধী দলের সংঘাতেই এই হত্যার মিছিল, মধ্য আমেরিকা জুড়েই যাদের বিচরণ।
এই গ্যাং সংস্কৃতি কিন্তু তাদের ধার করা। নৃশংস গৃহযুদ্ধের কবলে পরে ১৯৮০ এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দিয়েছিলো সালভাদোরানরা। সেখানেই ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসের রাস্তায় প্রথম এদের সন্তানরা গ্যাং সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হয়। সেখানেই প্রাথমিকভাবে এইসব অপরাধী দল গড়ে উঠে। ১৯৯২ সালে যখন গৃহযুদ্ধ শেষ হয় এই অভিবাসীরা দেশে ফিরে, নিয়ে আসে সেই এলো গ্যাং সংস্কৃতি। এখানকার মারাস বা পানডিলাস গ্যাং বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত।
এই অঞ্চলের প্রধান দুই ক্যাডার বাহিনী মারা সালভাত্রুচা, বা এমএস-১৩ এবং মারা-১৮, বা ১৮ স্ট্রিট গ্যাং।।