কূটনীতিক পাড়ার নিরাপত্তা নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করছেন পুলিশ ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। কূটনীতিক পাড়ার কাছে বাড্ডায় খিজির খান পীর সাহেব হত্যার মোটিভ জানতে ৩ ধরনের সম্ভাবনা মাথায় নিয়ে চলছে তদন্ত।
গোপীবাগে পীরসহ ৬ হত্যা এবং রাজাবাজারে ফারুকী হত্যার সঙ্গে বাড্ডায় পিডিবির সাবেক চেয়ারম্যান খিজির খান পীর সাহেব হত্যাকাণ্ডের সংগতি আছে কিনা তাও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
বাড্ডা গুদারাঘাটের কাছে মঙ্গলবার যে বাসায় হাত পা বেঁধে জবাই করা হয় পিডিবির সাবেক চেয়ারম্যানও পীর সাহেব খিজির খানকে। সকালে সেই বাড়িতে আবারও গোয়েন্দা দল পরিদর্শন করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বিদেশী নাগরিকসহ পীর সাহেব হত্যাকাণ্ড ভাবিয়ে তুলেছে পুলিশ ও গোয়েন্দাদের। এ পরিস্থিতিতে পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে গুলশান অপরাধ বিভাগের ডিসির রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছে।
আইন শৃংখলা পরিস্থিতি ছাড়াও পর্যালোচনা হয় চাঞ্চল্যকর দুই হত্যাকাণ্ড তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে। তবে বেশি গুরুত্ব পায় কূটনীতিক পাড়ার নিরাপত্তার বিষয়টি।
পিডিবির চেয়ারম্যান পীর সাহেব খিজির খান হত্যাকাণ্ডকে পরিকল্পিত বলেন গুলশান অপরাধ বিভাগের ডিসি মোস্তাক আহমেদ খান। ওই হত্যাকান্ডের ব্যাপারে এখনও কেউ আটক না হলেও সন্দেহভাজন তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
তিনি বলেন, কূটনৈতিক জোনের নিরাপত্তা অনেক বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পায়ে হেটে ও মোটরসাইকেলে করে টহল বাড়ানো হয়েছে। ডিপ্লোম্যাটদের এবং প্রতিনিধিদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ও সহায়তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
মোস্তাক আহমেদ আরও বলেন, ‘গোপীবাগ ও রাজাবাজারের ঘটনা বিবেচনা করে তদন্ত হচ্ছে। আগের ঘটনারগুলোর সঙ্গে মিল রয়েছে কি না তা দেখা হচ্ছে। পূর্বপরিকল্পিত ভাবেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে পারিবারিক দ্বন্দ্ব কিংবা সম্পত্তিজনিত কোনো কারণ আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধর্মীয় মতবিরোধের বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছে পুলিশ।
ঢাকা মেডিক্যাল মর্গে ময়না তদন্ত শেষে দুপুরে বিদ্যুৎ ভবনের সামনে তার জানাজা হয়। বুধবার সকাল ৮টায় গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ফিলিপ নগরে আরও জানাজা শেষে দাফন করা হবে মুক্তিযোদ্ধা খিজির খানকে।