তুরস্কে সৌদি কনস্যুলেটের ভেতর সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার দায়ে মার্কিন গোয়েন্দা তদন্তে অভিযুক্ত হতে পারেন সৌদি যুবরাজ। এই তদন্তে প্রধান অংশগ্রহণকারী হিসেবে কাজ করছে সিআইএ।
বৃহস্পতিবার এই রিপোর্ট প্রকাশিত হবে বলে এ বিষয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
ওই কর্মকর্তার মূল্যায়ন, সৌদি যুবরাজই খাশোগি হত্যার অনুমোদন দেন এবং হতে পারে তিনি সেটার নির্দেশও দেন। ওয়াশিংটন পোস্টের বিভিন্ন কলামে সৌদি যুবরাজের নীতির প্রবল সমালোচনা করেছিলেন খাশোগি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সাংবাদিকদের বলেছেন, তিনি ওই রিপোর্ট দেখেছেন। শীঘ্রই তিনি এই বিষয় নিয়ে ৩৫ বছর বয়সী যুবরাজের বাবা সৌদি আরবের রাজা ৮৫ বছর বয়সী সালমানের সঙ্গে কথা বলবেন।
রিয়াদের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরায় স্থাপন করার অংশ হিসেবে বাইডেনের নীতি অনুসারে এই তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হলো। ট্রাম্পের অধীনে চার বছরের সুসম্পর্কের পরে রিয়াদের সাথে সম্পর্কটিকে সনাতন ধারায় ফিরিয়ে আনতে কাজ করছেন বাইডেন।
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সৌদি আরবের অনুসন্ধানী সাংবাদিক জামাল খাশোগি সৌদি রাজপরিবারের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে একজন কড়া সমালোচক ছিলেন। ২০১৮ সালের ২৮ শে অক্টোবর ইস্তাম্বুলে সৌদি আরবের কনসুলেটে তাকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়। তুরস্কের অভিযোগ, এই অভিযানে রিয়াদ থেকে প্রেরিত ১৫ জন এজেন্ট জড়িত। তবে সৌদি সরকার তা অস্বীকার করে শুরু থেকে।
প্রথমদিকে সৌদি সরকার অস্বীকার করলেও, পরে সৌদির পক্ষ থেকে কনস্যুলেটের ভেতরে ধস্তাধস্তির সময়ে খাশোগি নিহত হয়েছেন বলে স্বীকার করা হয়।
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে হত্যার দায় নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন: যেহেতু আমার শাসনামলে এ ঘটনা ঘটেছে, তাই হত্যাকাণ্ডের দায় আমার। তবে এ হত্যাকাণ্ড তার অজান্তেই যে ঘটেছে সে কথাও উল্লেখ করেন যুবরাজ সালমান।
এই হত্যার দায়ে পরে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং তিনজনকে কারাদণ্ড দেয় সৌদি আরবের একটি আদালত।