বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন ঢাকার দুটি আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান ও ঢাকার মহানগর হাকিম নুর নবী এ আদেশ দেন।
বৃহস্পতিবার সকালে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার নির্ধারিত তারিখে হাজির হওয়ার কথা থাকলেও লন্ডনে থাকায় বেগম জিয়া না আসায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।
এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ মোট আসামি ছয়জন। অন্য পাঁচ আসামি হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান। ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন।
এদিকে জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকীর করা মানহানির মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ নুরুন্নবীর আদালত।
মামলার বাদী এ বি সিদ্দিক গত ১৭ সেপ্টেম্বর আদালত খালেদা জিয়াকে ৫ অক্টোবর হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেদিনও তিনি আদালতে হাজির হননি। তাই আজ আদালত খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।