নাশকতার মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। যাত্রাবাড়িতে বাসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে যাত্রী হত্যার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলার চার্জশিট গ্রহণ করে এই আদেশ দিয়েছেন মহানগর দায়রা জজ।
২০ দলীয় জোটের টানা অবরোধের সময় গত বছরের ২৩ জানুয়ারী রাতে যাত্রাবাড়ি এলাকায় একটি বাসে পেট্রোল বোমায় দগ্ধ হন ৩১ বাসযাত্রী। এক সপ্তাহ পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুর আলম নামের এক যাত্রী।
পরদিন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামী করে যাত্রাবাড়ি থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। একটি হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে, অন্যটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে।
গত বছরের ১৮ মে খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ওই চার্জশিটের গ্রহণযোগ্যতার শুনানিতে অনুপস্থিত ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া, বরকতউল্লাহ বুলু, এডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনসহ ২৮ জন। সবার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, (খালেদা জিয়া) আদালতে হাজির হলে কি হতো তা আদালত বলতে পারতো। অভিযোগ আমলে গ্রহণ করলেই সেখানে হাজির না থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয়। এটা আইনের ধারাতেই আছে।
গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
আসামীপক্ষের আইনজীবী বলেন, ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে উনাকে (খালেদা জিয়া) উনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। আজকে যেই মামলাটায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন, সেই মামলা যাত্রাবাড়ি থানায় তার নামে দায়ের করা হয়। তিনি আইনের আশ্রয় গ্রহণ করবেন এটাই স্বাভাবিক। আইনের আশ্রয় গ্রহণ করা মানেই আদালতের কাছে আসা। আদালতের কাছে এসে আবার জামিন চাওয়া।
ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের মামলাতেও গত বছরের ৬ মে আদালতে চার্জশিট দেয় ডিবি। ওই চার্জশিটের গ্রহণযোগ্যতার শুনানি এখনো হয়নি।