খালেদা জিয়ার নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ বাঁচানোর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগসহ অন্য দলগুলো বলেছে, অনেকদিন পরে হলেও তিনি বুঝতে পেরেছেন নির্বাচনই সঠিক সিদ্ধান্ত। তাদের মতে, এই বক্তব্যের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে তার আগের রাজনীতি ছিলো ভুল এবং ব্যর্থ।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গতকাল রোববার খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছে বিনিময় অনুষ্ঠানে বলেন, আন্দোলন নয়, দেশ বাঁচাতে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারকে ঘায়েল করতে হবে
তার এমন বক্তব্যেকে সাধুবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগসহ অন্য দলগুলো বলেছে, গণতন্ত্রে বিশ্বাসী দলের ভোট ছাড়া বিকল্প নেই। কিন্তু খালেদা জিয়া অনেক দিন আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করেছেন।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ বলেন, অনেকদিন পরে হলেও সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বুঝতে পেরেছেন এখন আর আন্দোলন করতে পারবে না; তাই নির্বাচনে যাওয়া উচিত।
‘আমি বলব, খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন এবং জনগণের মতামত যেন সঠিকভাবে মেনে নেন। কারণ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত এক রকম, নির্বাচনের দিন আরেক রকম, নির্বাচনের ফলাফলের পরে আরেক রকম এ ধরণের কৌশল জনগণ পছন্দ করেন না।’
অন্যদলের নেতারাও বলছেন, খালেদা জিয়ার কথার মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি না এসে ভুল করেছে।
বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ২০১৫ সালের জানুয়ারী মাস থেকে তিনি যে কথিত অবরোধ করেছে, এ অবরোধ ও পেট্রোল বোমার রাজনীতি মাধ্যমে যে লোকক্ষয় ও সম্পদের ক্ষতি হয়েছে তার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে খালেদা জিয়ার ওই রাজনীতি সম্পূর্ণ ভুল।
তবে অন্য বামদলগুলো অবশ্য বলছে, ভোটেও থাকতে হবে; আন্দোলনেও।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, নির্বাচনও করতে হবে আবার আন্দোলনও করতে হবে। খালেদা জিয়া আন্দোলন যতোটুকু করেছে তার চেয়ে বেশি আন্দোলনের নামে সহিংসতা, তাণ্ডব ও নাশকতা চালিয়েছে দেশে এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চেয়েছেন যাতে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশে ক্ষমতার হাতবদল করা যায়।
খালেদা জিয়ার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রাজনীতিকরা বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলের চেয়ে বর্তমান সরকারের সময় সকল ধর্মাবলম্বী অনেক ভালো আছেন।