খালেদা জিয়া এবং তার ছেলে তারেক রহমান দেশবাসীর কাছে খুনি পরিচিতি পেয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বগুড়া সফরে আলতাফুন্নেসা খেলার মাঠে ভাষণে একথা বলেন তিনি।
এর আগে বগুড়া সেনানিবাসে ৫ম কোর পুনর্মিলনী ও ১২ ল্যান্সারকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার বগুড়ায় যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় তিনি এই অঞ্চলের বর্তমান সরকারের বেশ কিছু উন্নয়ন কাজের উদ্বোধনসহ ১৫টি উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। নৌকায় ভোট দিলে দেশের মাটি কিছু পায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, নৌকার মানুষ দেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। নৌকায় ভোট দিলে মানুষ কিছু পায়। নৌকার মানুষ কিছু নিতে আসে না, দিতে আসে।
খালেদা জিয়া এবং তার ছেলেকে খুনি হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, তারা নির্বাচন ঠেকাবে বলে ৩৪ দিনের অবরোধ দিয়েছিলেন। কিন্তু কি হয়েছিলো-৩৪ দিনে তারা ১৩৫ জন মানুষকে হত্যা করে। নির্বাচনের আগের দিন ৫৮২টি স্কুলে আগুন দিযেছিলো। প্রিজাইডিং অফিসারসহ ৩০জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যকে হত্যা করে। কিন্তু তারা নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি।
খালেদার ভুলের মাসুল এখন দলীয় নেতা-কর্মীদের দিতে হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে তিনি ভুল করেছে। আর একটি রাজনৈতিক দল যখন ভুল করে তার ভুলের মাশুল দিতে হয় দলীয় নেতা কর্মীদের। এখন যেটা বিএনপির নেতা-কর্মীরা দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা এই দেশের (বগুড়া) পুত্রবধূকে একটু বলবেন তিনি যেন আর কখনো মানুষ না পোড়ান। আর আপনাদের দেশের যে কুলাঙ্গারটা আছে তাকে বলবেন সে যেন আর মানুষ না পোড়ায়।’
দেশে অর্থনৈতিক অবস্থা এখন যে কোন সময়ের তুলনায় ভালো উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের মানুষ এখন ভালো আছে। এই সরকারের আমলে ৫ কোটি মানুষ নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত থেকে মধ্যবিত্তের কাতারে চলে এসেছে। দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ১৩১৪ ডলার ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের সর্বাধিক জিডিপি অর্জনকারী দেশে গুলোর একটি।
বগুড়া দেশের অন্যতম পুরাতন শহর। আগে এখানে শিল্পকারখানা ছিলো। তা ধ্বংস করা হয়েছে। এখানে আবারও শিল্প গড়ে তোলা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের সরকার দেশের প্রতিটি জেলায় শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। বগুড়ায় আমরা আবারও শিল্পকে ফিরিয়ে আনবো।
দেশের মানুষের হাতে হাতে আওয়ামী লীগ মোবাইল ফোন তুলে দিয়ে।আগে ১৯৯১ সালে যখন প্রথম বাংলাদেশে মোবাইল ফোন আসে। মানুষকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকায় মোবাইল কিনতে হতো উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপির আমলে তাদেরই এক মন্ত্রী মোবাইলের ব্যবসা করতো। তাই মোবাইলের দাম সাধারণ মানুষের সাধ্যের বাইরে ছিলো। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মোবাইল ব্যবসাকে বেসরকারী খাতে দিয়ে মানুষের হাতে হাতে মোবাইল সফোন পৌঁছে দিয়েছে।