জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে আরো দুই সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। মামলাটিকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে দ্রুতগতিতে চালানো হচ্ছে বলে আসামিপক্ষ অভিযোগ করলেও রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, মামলা চলছে নিজস্ব গতিতে।
বকশিবাজারের বিশেষ আদালতে শুনানির শুরুতেই বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবীরা জিয়া অরফানেজ ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় অনুপস্থিতির জন্য সময়ের আবেদন করেন।
তারা জানান, লন্ডনে বেগম জিয়ার চোখের চিকিৎসা চলছে। তবে তার অনুপস্থিতিতে চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার কার্যক্রম এগিয়ে নেয়ার আবেদন করা হলে আদালত উভয় আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর শুরু হয় সাক্ষী-জেরা। বৃহস্পতিবার দু’জন সাক্ষ্য দেয়ায় চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় মোট সাক্ষ্য দিয়েছেন ২০ জন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, বেগম জিয়ার মামলায় বার বার তারিখ হচ্ছে। বেগম জিয়ার মামলা দ্রুত শেষ করতে হবে এই হলো সরকারের উদ্দেশ্য। আমরা বার বার বলেছি নিজস্ব ক্ষমতাবলে কোর্ট চলছে না।
আসামিপক্ষের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল বলেন, মামলা কোন গতিতে চলবে সেটা আদালত নির্ধারণ করবে। এখন উনারা যদি মনে করেন মামলা দ্রুততম হচ্ছে, তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাচ্ছে আর দাঁড়িয়ে থাকি আর এটাতে যদি ওনারা খুশি হন তাহলে তো করার কিছু নাই। কারণ মামলার বয়স হচ্ছে ৫ বছর।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে আবেদন আপিল বিভাগে বিচারাধীন থাকায় এ মামলার কার্যক্রম বিশেষ আদালতে মুলতবি রয়েছে।