বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলা এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে জানিয়ে মামলা পরিচালনায় সময়ক্ষেপণ না করার অনুরোধ জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবীরা।
মামলার অগ্রগতি সর্ম্পকে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজন বলেন, এখন আমরা মামলাটি শেষ করার পর্যায়ে আছি।
তিনি আরো বলেন, আইনের যে নিয়ম আছে সে নিয়ম মেনে আসামীপক্ষের আইনজীবীরা জেরা করেন না। ওনারা জেরা করেন রাজনেতিক উদ্দেশ্যে এবং আমরা বার বার বলছি দুর্নীতি দমন কমিশনের এ মামলাটি কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সৃষ্টি হয় নাই।
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে আইনজীবী মোশাররফ বলেন, উনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে সেসময় ব্যক্তিগতভাবে ট্রাষ্ট করতে পারেন কিনা, আপনাদের (গণমাধ্যম) মাধ্যমে দেশবাসির কাছে আমাদের প্রশ্ন।
তবে খালেদা জিয়ার প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, যেহেতু এ মামলাটি একটি ব্যক্তিগত ট্রাষ্ট এখানে ৫/২ ধারার কোন প্রয়োজন নাই। মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। বাদি নিজেই স্বীকার করেছে এখানে কোনো আত্মসাৎয়ের ঘটনা ঘটে নাই এবং রাষ্ট্রের কোনো অর্থ খরচ হয় নাই।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার আসামি মোট ছয়জন আর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় চার। দু’ মামলার প্রথম সাক্ষীকে আংশিক জেরা শেষে আদালত ৩ আগষ্ট নতুন তারিখ দিয়েছেন। জামিনে থাকা মামলার প্রধান আসামী খালেদা জিয়াসহ অন্যরা সেসময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী দুদকের উপ-পরিচালক হারুন অর রশিদকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জেরা করেন। গত ১৮ জুন শুরু হয়েছিলো আসামিপক্ষের জেরা।
মামলা দু’টির শুনানির জন্য নির্ধারিত ৬৯ কার্যদিবসের মধ্যে ৫৮ কার্যদিবসই অনুপস্থিত ছিলেন খালেদা জিয়া। হাজির হয়েছেন মোট ১১ দিন। দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা দুর্নীতি মামলার বিচারিক কার্যক্রমে অংশ নিতে ঢাকার বকশিবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে খালেদা জিয়া আসেন সকাল ১০টার কিছু পরে। সাড়ে ১০টার দিকে আদালতে প্রবেশের পর শুরু হয় বিচারিক কার্যক্রম।