চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

খালেদার কারাদণ্ড বৃদ্ধি চেয়ে করা আপিলের গ্রহণযোগ্যতার শুনানি বুধবার

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বিচারিক আদালতের দেয়া কারাদণ্ড বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের করা আপিলের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে শুনানি বুধবার।

খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের করা আপিল আজ হাইকোর্টে উপস্থাপন করেন দুদকের অাইনজীবী খুরশিদ অালম খান।

এরপর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আপিলের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন।

এর আগে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বিচারিক অাদালতের দেওয়া ৫ বছরের কারাদণ্ড অপর্যাপ্ত উল্লেখ করে গত রোববার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করে দুদক।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। আর খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার বিএনপির সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে এই মামলায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।

সেই সঙ্গে খালেদা তারেকসহ দণ্ডিত সবাইকে মোট ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা জরিমানা করা হয়।

এই রায়ের পরই খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়। পরবর্তীতে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল ও জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া।

গত ১২ মার্চ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন।

এরপর জামিন স্থগিত চেয়ে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে এই মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিন ৮ মে পর্যন্ত স্থগিত করে গত ১৯ মার্চ আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।

সেই সাথে আদালত দুই সপ্তাহের মধ্যে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষকে আপিলের সার সংক্ষেপ জমা দিতে বলেছেন। এবং এর পরের দুই সপ্তাহের মধ্যে আসামিপক্ষকে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দেয়ার নির্দেশ দেন আদালত।