বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই বিচারিক আদালতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম চলবে।
খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে এই মামলার কার্যক্রম চলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা আবেদন রোববার খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি মো. কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
এই আদেশের ফলে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে এই মামলার বিচার চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
খালেদার অনুপস্থিতিতে ওই মামলার কার্যক্রম চলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার পক্ষে আবেদন করেন আইনজীবী কায়সার কামাল। ওই আবেদনে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়।
এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া আদালতে না আসায় তার অনুপস্থিতিতে বিচার চলবে বলে আদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক আখতারুজ্জামান।
ওইদিন আদালত তার আদেশে বলেন, বেগম খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হয়ে ৫ সেপ্টেম্বর বলেছেন, তিনি বারবার আদালতে আসতে পারবেন না। এরপর ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর এবং আজও খালেদা জিয়া কারাগার কর্তৃপক্ষকে বলেছেন, তিনি আদালতে আসতে পারবেন না।
অর্থাৎ আদালতের কাছে প্রতীয়মান হয় যে, খালেদা জিয়া আদালতে আসতে অনিচ্ছুক। অথচ মামলার দুই আসামি প্রতিদিন হাজির হচ্ছেন। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারি থেকে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হননি। এমন অবস্থায় ন্যায়বিচারের স্বার্থে খালেদা জিয়াকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাকে জামিনে রেখে বিচার চলবে।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধ ভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার অপর আসামিরা হলেন হারিছ চৌধুরী, জিয়াউল ইসলাম ও মনিরুল ইসলাম খান।