হাইকোর্টে খালাস পেলেও সাতক্ষীরার একটি আদালতের বিচারক তাপস কুমার দের
অবহেলায় ও নিষ্ক্রিয়তায় জবেদ আলী বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তিকে ১৩ বছর
কারাগারে আটক থাকা কেন অবৈধ নয় জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
একই সাথে
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না তাও জানতে
চাওয়া হয়েছে। এই ঘটনাকে মানবাধিকারের মারাত্মক লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছেন
হাইকোর্ট।
সাতক্ষীরার কলারোয়াবাসী জবেদ আলী বিশ্বাস স্ত্রী মারা যাওয়ার পর দুই মেয়ে শিশু লিলি ও রেক্সোনাকে নিয়ে তাদের মামা বাড়িতে থাকতেন। সেই মামার দায়ের করা মামলায় ১৯৯৪ সালে মেয়ে লিলিকে বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২০০১ সালে বিচারিক আদালত আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং জরিমানার রায় দেন। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে জবেদ আলীকে ২০০৩ সালের ১৯ মার্চ খালাস দেন হাইকোর্ট।
এরপর ২৬ মার্চ সাতক্ষীরার সে সময়ের অতিরিক্ত দায়রা জজ হাইকোর্টের আদেশ কারাগারে না পাঠিয়ে তা আদালতের রের্কড রুমে সংরক্ষণের নির্দেশ দেন। ফলে তার মুক্তি পেতে ১৩ বছর লেগে যায়। সংবাদপত্রে ‘খালাসের রায়ের ১৩ বছর পর কারামুক্ত হলেন জবেদ আলী’ শিরোনোমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। জনস্বার্থে রিট আবেদন করে মানবাধিকার সংগঠন চিলড্রেনস চ্যারিটি ফাউন্ডেশন।
ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম বলেন, আদালত মন্তব্য করেছেন এটা অবশ্যই মারাত্মক মানবাধিকারের লঙ্ঘণ। শুধু মানবাধিকারের লঙ্ঘণ নয়, এটা তার মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘণও বটে।
শুনানি শেষে বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিচারপতি ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল দেন।
ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম বলেন, জবেদ আলী বিশ্বাসের ১৩ বছরের কারাবাসের বিষয়ে অবহেলা, নিষ্ক্রিয়তাকে কেনো অবৈধ, অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না এবং তার মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকার লঙ্ঘণের কারণে কেন ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেয়া হবে না সেই বিষয়ে আদালত ৪ সপ্তাহের রুল জারি করেন।
রুলে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলসহ বিবাদীদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।