দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত হওয়ার পর এই প্রথম খাবার খেতে পারছেন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম। তার অবস্থার আরও উন্নতি হয়েছে।
রোববার সকালে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড প্রধান অধ্যাপক জাহেদ হোসেন জানান, সকাল থেকে তাকে লিকুইড খাবার দেয়া শুরু হয়েছে। তার কনসাস লেভেল এবং আর সব প্যারামিটার ভালো। তবে শরীরের একটা অংশ অবশ হয়ে যাওয়ার কারণে ডান পাশের অংশের উন্নতি নেই।
তিনি বলেন, ‘আজ মধ্যরাতে ওয়াহিদার অস্ত্রোপচারের পর পর্যবেক্ষণের ৭২ ঘণ্টা শেষ হবে। আগামীকাল সোমবার সকালে আবারও তার অবস্থার পর্যালোচনা করা হবে।’
গত বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে দুর্বৃত্তরা ইউএনও ওয়াহিদা খানম এবং তার মুক্তিযোদ্ধা বাবার ওপর হামলা করে। হামলাকারীরা হাতুড়িসহ বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে তাকে মারাত্মক জখম করে।
পরেরদিন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর কমিউনিটি হাসপাতাল থেকে তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সাইন্স অ্যান্ড হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়।
এই ঘটনায় বোনকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনে অজ্ঞাতনামা দুইজনকে আসামি করে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থানায় মামলা করেছেন ওয়াহিদা খানমের ভাই শেখ ফরিদ।
২০১৮ সালের ৭ নভেম্বর কর্মস্থলে যোগ দেয়ার পর থেকেই মাদক, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, অবৈধ বালু উত্তোলন, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিংএর বিরুদ্ধে কাজ করে সবমহলে প্রশংসিত হন ওয়াহিদা খানম।