মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়াকে তাদের উপকূল উন্মুক্ত করে দেওয়ার পাশাপাশি বিপদগ্রস্ত অভিবাসীদের উদ্ধারের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। কিন্তু জবাবে মালয়েশিয়া বলেছে, তারা আরোহীদের খাবার ও পানি দিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দেবে। দেশের অভ্যন্তরে ঢুকতে দেবে না। ইন্দোনেশিয়াও একইরকম আচরণে ১০০ অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা আইএমও বলছে, সাগরে এখনো অনেক অভিবাসী বহনকারী ট্রলার ভাসছে। মানব পাচারকারীরা বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের রোহিঙ্গা অভিবাসীদের বহনকারী ট্রলারগুলো সমুদ্রে রেখেই পালিয়ে গেছে।
এমন অবস্থায় ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া এসব অভিবাসীকে গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়ে নৌকাগুলো ফিরিয়ে দেওয়ায় তাদের আর কোনো সুযোগ না থাকায় উদ্বিগ্ন আইএমও।
সংস্থাটি বলেছে, শুধু পুরুষ নয়; ওইসব ট্রলারে নারী এবং শিশুরাও খাবার ও পানি ছাড়া মানবেতর দিন যাপন করছে। মানবপাচারকারী গ্রপগুলো কোনো দেশে তাদের পাচার করতে না পেরে কাঠের ট্রলারে করে অভিবাসীদের সমুদ্রে ভাসিয়ে দিয়ে নিজেরা পালিয়েছে।
‘ফলে সেখানে কেউ বাঁচলো নাকি মরলো তা দেখার মতো কেউ নেই। নেই নিজেকে বাঁচানোর মতো কোনো সুযোগও।’
এমন প্রেক্ষাপটে কাছাকাছি দেশ যেমন মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়াকে তাদের সমুদ সীমানা উন্মুক্ত করে বিপদগ্রস্ত মানুষদের উদ্ধার করার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
জবাবে মালয়েশিয়া মেরিন ফোর্সের প্রথম অ্যাডমিরাল ট্যান কক কিউই বলেন, তারা কোনো বিদেশী নৌকা তাদের দেশে প্রবেশ করতে দেবেন না।
‘যদি ওইসব নৌকা একেবারেই সমুদ্রযাত্রার অনুপযোগী হয় বা ডুবে যাচ্ছে এমন অবস্থা হয় তাহলে ভিন্ন কথা। তা না হলে তাদের নৌবাহিনী তাদের পর্যাপ্ত খাবার দিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দেবে,’ এভাবেই মালয়েশিয়ার অবস্থান জানান অ্যাডমিরা ট্যান কক।
এর আগে ইন্দোনেশিয়াও শ’খানেক রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিসহ একটি নৌকা ফেরত পাঠিয়েছে। পর্যাপ্ত খাবার এবং পানি দিয়েই ওই নৌকাকে মালয়েশিয়ার পথ দেখানো হয়। কারণ মালয়েশিয়াই ছিলো তাদের চূড়ান্ত গন্তব্য।