প্রভাবশালী খান পরিবারের চার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলার অভিযোগপত্রকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বিরাজ করছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে।
মঙ্গলবার রানা গ্রুপ অভিযোগপত্রের প্রতিবাদে অপরদিকে লেবু গ্রুপ ফাঁসির দাবিতে পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ডাকায় ঘাটাইলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘাটাইল বাসষ্ট্যাণ্ড চত্বরে লেবু গ্রুপ এবং কলেজ মোড়ে রানা গ্রুপ সমাবেশের ডাক দেয়।
এরআগে, আলোচিত মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যার ঘটনায় টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাসহ চার ভাইয়ের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
গত ৩ ফেব্রুয়ারী বুধবার আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়ার পর এমপি রানার অনুসারী এবং এমপি বিরোধীরা শহরে পাল্টাপাল্টি মিছিল ও ভাংচুর করে । এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি চারটি মামলা হয়।
ওই ঘটনার জের ধরে পরের দিন ৪ ফেব্রুয়ারী দুই গ্রুপ উপজেলা সদরের ঘাটাইল বাসষ্ট্যাণ্ড চত্বর ও কলেজ মোড়ে পৃথক পৃথক সমাবেশর ডাক দেয়।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলার হামিদপুর এলাকায় পাল্টাপাল্টি সমাবেশেও ১৪৪ ধারা জারি করেছিলো প্রশাসন।
একদিন বিরতি দিয়ে আজ মঙ্গলবার বিকেলে আবার দুই গ্রুপ পৃথক স্থানে অভিযোগপত্রের প্রতিবাদে ও ফাঁসির দাবিতে সমাবেশের ডাক দেয়ায় শহর জুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম লেবু চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, আমারা এমপি রানার দল থেকে বহিষ্কার চাই, তার ফাঁসি চাই। যে পর্যন্ত তাদের বিচার ও দল থেকে বহিষ্কার করা না হবে ততোদিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যাট আছমা আরা বেগম চ্যানেল আই অনলাইনকে জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা শহরেই অবস্থান করছি। জীবন যাত্রার মান স্বাভাবিক আছে এখন পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করার মতো অবস্থার তৈরি হয়নি।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে টাঙ্গাইল শহরের কলেজপাড়ার নিজ বাসার সামনে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ফারুক আহমেদের লাশ উদ্ধার হয়।
ফারুক আহমেদ হত্যাকাণ্ডের প্রায় ২০ মাস পর গ্রেপ্তার হওয়া আনিসুর রহমান রাজা ও মোহাম্মদ আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
উভয় আসামীর জবানবন্দিতে এই হত্যাকাণ্ডে টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের এমপি আমানুর রহমান খান রানা ও তার ছোট ভাই সানিয়াত খান বাপ্পার জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করা হয়।
এ হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনার সঙ্গে আমানুর রহমান খান রানার অপর ভাই সহিদুর রহমান খান মুক্তি ও জাহিদুর রহমান খান কাকন যুক্ত বলে মোহাম্মদ আলী তার জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন।