মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম লক্ষ্য ছিলো এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে মৌলিক চাহিদা পূরণ করবে রাষ্ট্র। শুরুতে বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো সবার জন্য খাবারের ব্যবস্থা, যার জন্য জরুরি ছিলো খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন। সেই লক্ষ্য অর্জনের পর এখন নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার চ্যালেঞ্জ।
দীর্ঘদিন মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত বাঙালি মরিয়া হয়ে উঠেছিলো স্বাধীনতার জন্য। যার ধারাবাহিকতায় মুক্তিযুদ্ধ, যুদ্ধে বিজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্ম।
স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫ নম্বর অনুচ্ছেদে মৌলিক প্রয়োজনের ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে যার প্রধান বিষয় খাদ্য। যুদ্ধোত্তর সময়ে খাদ্য সংকট আর দুর্ভিক্ষ মোকাবিলা করা বাংলাদেশ এখন খাদ্যে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণই নয়, প্রয়োজনের চেয়ে উদ্বৃত্ত উৎপাদনেরও এক দেশ।
কিন্তু, সংবিধানের ১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জনগণের পুষ্টির স্তর উন্নয়ন এবং জনস্বাস্থ্যের উন্নতিতে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতাকে টেকসই করার পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করাও জরুরি। বাস্তব অবস্থা কী?
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে আইন হয়েছে, সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ আছে, অভিযানও চলে নিয়মিত। এতোসব পদক্ষেপের পরও ভেজাল ও বিষমুক্ত খাবার নিশ্চিতে অগ্রগতি কতোদূর?
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত না হওয়ার পেছনে সমন্বয়হীনতা ও দুর্নীতিকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।