করোনা পরিস্থিতি অবনতির হুজুগে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনে বাসায় মজুদ রাখার প্রয়োজন নেই জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ রয়েছে। তাই দামও বাড়বে না।
বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন: “কোনো জিনিসের দাম বাড়বে না, তাই বাড়তি জিনিস কিনে বাসায় মজুদ রাখার প্রয়োজন নেই। আর পাইকারি বাজারে দাম বাড়েনি।’’
ব্যবসায়ীদের কৃত্রিম সংকট তৈরি না করার আহ্বান জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, ‘খুচরা বিক্রেতারা বাড়তি দাম রাখছে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের ৭টি টিম মাঠে নেমেছে। মানুষকে সচেতন হতে হবে।’
খাদ্যমন্ত্রী যা বললেন
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারও জোর দিয়ে বলেছেন: “সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে দানাদার খাদ্য চাল গমের দাম বাড়বে না। ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ালে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
“মানবতা দেখাতে হবে, মানুষকে জিম্মি করে বাড়তি সুবিধা নেয়া যাবে না। ব্যবসায়ীরা মজুদ রেখে সংকট সৃষ্টি করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে বাইরে থেকে আমদানি করা হবে। ভোক্তাদের আতঙ্কের কিছু নেই। মনিটরিং টিম আছে।”
প্রধানমন্ত্রী সেল মনিটরিং করছেন উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন: “সাড়ে ১৭ লাখ মাট্রিক টন চাল ও গম মজুত আছে।”
গত কয়েকদিন ধরে দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে- এমন সংবাদের পর কিছু কিছু মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন বাজারে।
দর কষাকষি কিংবা ভালো-মন্দের বিচার না করেই প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত জিনিসপত্র কিনছেন কেউ কেউ। এতে কয়েকগুণ বিক্রি বাড়ার পাশাপাশি কিছু পণ্যের দামও বেড়েছে।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয় ৩ ব্যক্তি। এরপর দুই দফার আরও ৭ জনের শরীরে এই ভাইরাস পাওয়ার কথা জানায় সরকার। তবে আক্রান্ত প্রথম ৩ জন এখন সুস্থ বলে দাবি করেছে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।