নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিট, আর যোগ করা সময়ের দুই গোলে রুদ্ধশ্বাস-রোমাঞ্চ ছড়ানো এক জয়ে আটালান্টাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে পিএসজি।
লিসবনে বুধবার রাতে আটালান্টার বিপক্ষে ২–১ গোলের জয় তুলেছে ফরাসি জায়ান্ট পিএসজি। টমাস টুখেলের দুই শিষ্য মার্কুইনোস ও এরিক ম্যাক্সিম চুপো-মোটিং সেরা চারের টিকেট আনা গোল দুটি করেন।
আসরের প্রথম দল হিসেবে সেমিতে ওঠা পিএসজি শিরোপার মঞ্চের পথ খুঁজতে আরেক কোয়ার্টারের অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ও লেইপজিগের মধ্যকার জয়ীর বিপক্ষে পরীক্ষা দেবে। জিততে পারলে প্রথমবার ফাইনালে ওঠার স্বাদ পাবে ফ্রেঞ্চ চ্যাম্পিয়নরা।
করোনার কারণে এক লেগের প্রথম কোয়ার্টারে নেমে দুই যুগ পর দ্বিতীয়বারের মতো সেমির দরজা খোলা পিএসজি একের পর এক সুযোগ হাতছাড়া করে পিছিয়ে পড়ে ম্যাচের প্রথম আধাঘণ্টাতে।
নেইমার যখন গোলরক্ষককে একা পেয়েও লক্ষ্য ছুঁতে পারেননি, তখন ২৭ মিনিটে মারিও পাসালিচ সুযোগ কাজে লাগান। ক্রোয়েট মিডফিল্ডার লিড এনে দেন আটালান্টাকে। এগিয়ে থেকে মধ্যবিরতিতে যায় দলটি।
বিরতি থেকে ফিরেও দারুণ খেলা জারি রাখে আটালান্টা। বিপরীতে সুযোগ হাতছাড়া জারি রাখেন নেইমাররা! বদলি নামা এমবাপেও গোল আনতে পারছিলেন না। তাতে হতাশা বাড়তে থাকে, বিপরীতে ম্যাচের সময় ফুরিয়ে আসতে থাকে একসময়।
পিএসজি যখন হতাশায় মুষড়ে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে, তখনই রোমাঞ্চের পসরা খুলে বসে ম্যাচ। ৯০ মিনিটে চুপো-মোটিংয়ের বাড়ানো বল বক্সে পেয়েও নেইমার যখন জালে জড়াতে পারলেন না, সেটি প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে ফেরত এলে সুযোগসন্ধানী মার্কুইনোস জালে ঠেলে দেন।
সমতায় ফিরে উজ্জীবিত পিএসজি যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে জয়ের উল্লাসে মাতে। ইকার্দির বদলি এরিক ম্যাক্সিম চুপো-মোটিংকে ক্রস করেছিলেন এমবাপে, কাজের কাজটি করে দেন ক্যামেরুন ফরোয়ার্ড। জাল খুঁজে নিয়ে রাস্তা খুলে দেন সেমির।