গোল পাচ্ছিলেন না। সব মিলিয়ে চলতি মৌসুমে নামের পাশে মাত্র তিন গোল। বড্ড বেমানান লুইস সুয়ারেজ নামটার সঙ্গে। তাতে খুব একটা সমালোচনা না হলেও উরুগুয়ে তারকা মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছিলেন ফর্মে ফিরতে। চেষ্টার ফলটা পেলেন শনিবার। লেগানেসের মাঠে তার জোড়া গোলের সঙ্গে পাউলিনহোর এক গোলে দারুণ জয় নিয়ে ফিরেছে বার্সেলোনা।
লা লিগার শীর্ষ দল বার্সেলোনা লেগানেসের মাঠে ৩-০ গোলের জয় তুলে নিয়েছে। জয়ে ১২ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্টে টেবিলের শীর্ষস্থানটি আরও সুসংহত করল কাতালান দলটি।
নিজেদের মাঠে শুরুতে বেশ ভালই দাপট দেখিয়েছে লেগানেস। বিশেষ করে স্বাগতিক ফরোয়ার্ড নরদিন অ্যামরাবাট ছিলেন দুর্দান্ত। প্রথমদিকে কয়েকবার হামলে পড়ে বার্সা রক্ষণকে সন্ত্রস্ত করে রাখেন অ্যামরাবাট।
অবশ্য উল্টো বার্সাই আগে গোল পেয়ে যায়। অতিথিদের প্রথম গোলের কাণ্ডারি সুয়ারেজ। চলতি মৌসুমে গোল খরায় ভুগতে থাকা উরুগুয়ে ফরোয়ার্ড গোল পেয়েছেন দুবারের চেষ্টায়। পাকো আলকাসারের ক্রস লেগানেস ডিফেন্ডারের ভুলে ডি-বক্সে পেয়ে যান সুয়ারেজ। সেখান থেকে ২৮ মিনিটে তার প্রথম শট স্বাগতিক গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিলেও ফিরতি চেষ্টায় মৌসুমের চতুর্থ গোলটি পান উরুগুয়ে তারকা।
পিছিয়ে পড়া লেগানেস সমতায় ফিরতে পারতো ৩৫ মিনিটেই। ডি-বক্সের ভেতরে বাঁ-প্রান্ত থেকে সিম্যানভোস্কির নিচু শট হাত ছুঁয়ে কোনরকমে ঠেকিয়ে দেন বার্সা গোলরক্ষক টের স্টেগেন।
বার্সা রক্ষণে এদিন বেশ ভালই আক্রমণ শানিয়েছেন লেভান্তের সাবেক ফরোয়ার্ড অ্যামরাবাট। দ্বিতীয়ার্ধের ৫০ মিনিটে তার গোলমুখি জোরাল শট ঠেকিয়ে দেন বার্সা গোলরক্ষক।
খরা কাটিয়ে গোলের নেশায় পেয়ে বসা সুয়ারেজও এদিন যেন পুষিয়ে দিতে চাইলেন। ম্যাচের ৬০ মিনিটে আবারও জাদু তার পায়ে। আলকাসারের শট লেগানেস গোলরক্ষক রুখখে দিলেও গ্লাভসে রাখতে পারেননি। বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে যান সুয়ারেজ। সেখান থেকে নেয়া তার বুলেট গতির শটটি গোলরক্ষকের গায়ে লেগে জালে জড়ালে মৌসুমে নিজের পঞ্চম গোলটিও পাওয়া হয় উরুগুয়ে তারকার।
দুই গোলে এগিয়ে থেকে যখন জয় নিশ্চিত বার্সার, তখনই দলের তৃতীয় গোলটি করেন পাউলিনহো। জটলা থেকে ৯০ মিনিটে জাল খুঁজে নেন ব্রাজিল তারা। প্রায় সারা ম্যাচে নিষ্প্রভ থাকা লিওনেল মেসির পাস থেকে এই মিডফিল্ডারের খোঁচা গোলে রূপ নিয়ে হাসি মুখেই মাঠ ছাড়ায় কাতালানদের।