ইভিএম ব্যবহারে অপরাধ সংগঠিত হলে শাস্তির বিধানসহ অনলাইনে মনোনয়ন ফরম জমা দেয়ার সুযোগ রেখে সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব বিল-২০১৯ (আরপিও) জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশনে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি উত্থাপন করেন।
বিলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার, মনোনয়নপত্র দাখিলের আগেরদিন খেলাপি ঋণ পরিশোধের সুযোগ দান, অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সুযোগ এবং ইভিএম সংশ্লিষ্ট অপরাধের শাস্তির বিধান সংযোজনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিধান রেখে আরপিও সংশোধন ছিলো আলোচনায়। অধিবেশন গড়িয়েছিলো নির্ধারিত সময়ের পেরিয়েও। কিন্তু দশম সংসদের শেষ ২৩তম অধিবেশনে নতুন বিল পাসে ইতিহাস সৃষ্টি করলেও আরপিও সংশোধন বিল’১৮ পাস ছাড়াই দশম সংসদ তার মেয়াদ শেষ করে।
পরবর্তীকালে ৩১ অক্টোবর’১৮ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে রাষ্ট্রপতি তার প্রদত্ত বিশেষ ক্ষমতাবলে অধ্যাদেশ জারি করেন। যার প্রেক্ষিতে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে সীমিত আকারে ইভিএম ব্যবহার হয়।
একাদশ নির্বাচন শেষে রাষ্ট্রপতি ৩০ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন আহ্বান করেন। আরপিও সংশোধনীর অধ্যাদেশটি আইনে পরিণত করতে প্রথম ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বিল আকারে সংসদে উত্থাপনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেটা না হলে রাষ্ট্রপতি প্রদত্ত অধ্যাদেশটি কার্যকারিতা হারাবে।
এ প্রেক্ষিতে ২১ জানুয়ারি আরপিও সংশোধনি’১৯ মন্ত্রী পরিষদে উত্থাপিত হয়। পরবর্তীসময়ে তা মন্ত্রী পরিষদ অনুমোদন করলে সংসদের কাছে পাঠানো হয়। আজ সেই আরপিও সংশোধনি সংসদে উত্থাপন করলেন আইনমন্ত্রী।
এরপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ১ দিনের মধ্যে সংসদে রিপোর্ট দেয়ার জন্য বিলটি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে প্রেরণ করা হয়।