নর্থ কোরিয়ার সব ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির নেতা কিম জং উন। এমনকি একটি পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্তের কথাও জানিয়েছেন তিনি।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ কিমের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২১ এপ্রিল থেকে নর্থ কোরিয়া পারমাণবিক পরীক্ষা এবং আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণ বন্ধ করে দেবে।
কিম জং উন বলেন, এখন আর পরীক্ষা চালানো অপ্রয়োজনীয়। কেননা পিয়ংইয়াংয়ের পারমাণবিক দক্ষতা ইতোমধ্যেই যাচাই করা হয়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঐতিহাসিক আলোচনায় বসার প্রস্তুতি নিচ্ছে নর্থ। এর মাঝেই বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো এলো ঘোষণাটি।
আগামী সপ্তাহে সাউথ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায় ইনের সঙ্গে এক দশকেরও বেশি সময় পর আন্তঃকোরীয় বৈঠকে বসার কথা রয়েছে কিম জং উনের। এরপর জুনে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন তিনি।
সাউথ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র – দু’দেশই নর্থকে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা বন্ধ করার জন্য দীর্ঘ সময় ধরে চাপ দিয়ে আসছিল। তাই পিয়ংইয়াংয়ের এই সিদ্ধান্তে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে তারা।
এ ঘোষণার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইটবার্তায় বলেন, ‘নর্থ কোরিয়া এবং পুরো বিশ্বের জন্যই এটি খুব ভালো একটি খবর – অনেক বড় অগ্রগতি এটা।’
North Korea has agreed to suspend all Nuclear Tests and close up a major test site. This is very good news for North Korea and the World – big progress! Look forward to our Summit.
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) April 20, 2018
গত বৃহস্পতিবারই অবশ্য ট্রাম্প বলেছিলেন, নর্থ কোরিয়া যদি পারমাণবিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেকে বেরিয়ে আসতে পারে, তবে সেটা দেশটির জন্য এগিয়ে যাওয়ার উজ্জ্বল পথ খুলে দেবে।
অন্যদিকে সাউথ কোরীয় নেতা মুন জায় ইন অস্ত্র পরীক্ষা বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, পদক্ষেপটি একটি অর্থপূর্ণ অগ্রগতি।
মুনের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, আসন্ন সাউথ-নর্থ ও নর্থ-মার্কিন সম্মেলনের সাফল্যের জন্য ইতিবাচক পরিবেশ তৈরিতেও এটি ভূমিকা রাখবে।