‘ক্ষীণকায়’ এ শিশুর ছবি এখন ঘুরছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। বলা হচ্ছে, ‘ডাইনি’ সন্দেহে দক্ষিণ-পূর্ব নাইরেজিয়ার এক শহরের রাস্তায় দুই বছর বয়সী ওই শিশুকে রাস্তায় ফেলে যাওয়া হয়েছিল।
ঠিকমতো দাঁড়াতে কষ্ট হচ্ছিল। তারপরও সামনে বাড়িয়ে দেওয়া পানির বোতলে মুখ লাগালো সে। এভাবেই যেন দীর্ঘদিনের পিপাসা মিটলো তার। নগ্ন, অসম্ভব রুগ্ন, দীর্ঘদিন ধরে অনাহারে কাটানো শিশুটিকে ঘুরতে দেখে তাকে রাস্তা থেকে তুলে নেন ড্যানিশ সহায়তাকর্মী অ্যাঞ্জা রিনরেন লোভেন। রাস্তা থেকে উদ্ধারের পর ড্যানিশ নারী অ্যাঞ্জা রিনরেন শিশুটির নাম দিয়েছেন হোপ অর্থাৎ আশা।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বরাত দিয়ে সিএনএন জানায়, ডাইনি সন্দেহে রাস্তায় শিশু
ফেলে যাওয়ার প্রবণতা বিশ্বব্যাপী বেড়েই চলছে। ২০০৯ সালে এমন অপরাধে
অভিযুক্ত একহাজার ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়।
পরে ওই নারীকর্মী জানতে পারেন শিশুটির বাবা-মায়ের সন্দেহ হয় তাদের সন্তান একজন ডাইনি। সেইজন্য তাকে রাস্তায় ফেলে চলে যায় পরিবারের লোক। গত আটমাস ধরে বাচ্চাটি ঠিকমতো খাবার খেতে পায়নি। রাস্তা দিয়ে যত লোক যেত তারা বাচ্চাটির দিকে যা খাবার ছুঁড়ে দিয়ে যেত, সেই খাবার খেয়েই সে বেঁচে ছিল এতদিন।
রিনরেন লোভেন তাকে উদ্ধারের পর একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে নিয়ে যান। আফ্রিকার দেশগুলোতে বহু পরিবার তাদের সন্তানদের ডাইনি সন্দেহে খুন পর্যন্ত করে।