অতীত কর্মকাণ্ড এবং খালেদা জিয়ার ভুয়া জন্মদিন পালনের জন্য বিএনপিকে ক্ষমা চাইতে হবে, ক্ষমা না চাইলে বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বুধবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক মিলনায়তন কেন্দ্রে শোক দিবসের আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
কাদের বলেন: গত জাতীয় নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা শত অপমান সহ্য করেও সংলাপের অাহ্বান জানিয়েছিলেন, কিন্তু বিএনপি সাড়া দেয়নি। জাতির পিতার হত্যার দিনে যারা কেক কেটে ভুয়া জন্মদিন পালন করে তাদের সাথে সংলাপ নয়।
ভূয়া জন্মদিন পালনের জন্য ক্ষমা না চাইলে তাদের(বিএনপি) সঙ্গে সংলাপ নয় বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
বলেন: স্বাধীন বাংলাদেশ আবারও পলাশীর ষড়যন্ত্রের পুনরাবৃত্তি দেশে ১৫ অাগস্ট, জাতীর পিতাকে হত্যার মধ্যদিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা গণতন্ত্রকে কুক্ষিগত করে। অাজ যারা ৭৫’র পর থেকে বাংলাদেশের ৪৩ বছরের ইতিহাসকে ভুলে গেছে, সত্যের বিকৃতি করছে, সংলাপ ও গণতন্ত্রের নামে তারাই অশ্রুপাত করেছে। আমি প্রশ্ন করতে চাই, তারা কি ১৫ অাগস্টের কথা ভুলে গেছেন? আমরা হত্যাকারীদের চিনি।
বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আশ্রয় প্রশ্রয়েই ৭৫ পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে জড়িতরা বাংলার মাটিতে দম্ভভরে ঘুরে বেড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেন কাদের। তিনি বলেন: যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেন, বিদেশে পালিয়ে যেতে সহায়তা দিয়েছে, ইনডেমনিটি অডিয়েন্স জারি করে বিচারের পথ বন্ধ করেছে, তাদের সাথে গণতন্ত্রের নামে কোন সংলাপ নয়।
সংলাপের সব পথ বিএনপিই বন্ধ করেছে বলেও মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন: বিএনপি আজ গণতন্ত্রের জন্য মায়াকান্না করছে। সংলাপের আহ্বান জানাচ্ছে! এগুলো তাদের মায়া কান্নায়। তাদের মনে করিয়ে দিতে চাই, অাওয়ামী লীগ ওয়ার্কিং অান্ডাস্ট্যান্ডিং চেয়েছিলো বলেই বেগম জিয়ার ছোট ছেলে’র (আরাফাত রহমান কোকো) মৃত্যুর সময় সান্তনা দিতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে ঢুকতে না দিয়ে বিএনপি সব ধরণের সংলাপের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে।