রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলছে নানা ধরণের উন্নয়ন ও অবকাঠামোগত কর্মকাণ্ড। কোনো কাজ করতে গেলে আগের বা বর্তমান অবস্থার পরিবর্তন আসবেই, আর সেই কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছুটা সমস্যা হবেই, সেইসঙ্গে কর্মএলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন অনেকে। এই প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের কষ্ট দিয়ে কোনো উন্নয়ন করা যাবে না। মহেশখালীর মাতারবাড়ি প্রকল্প এলাকার লবণচাষী এবং জমি মালিকদের দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
প্রায় সবধরণের প্রকল্প বা কর্মেই এই ধারা থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্ষতিগ্রস্তরা সঠিক সময়ে তাদের ক্ষতিপূরণ পান না। রাজধানীর আশেপাশে বিভিন্ন আবাসিক প্রকল্প ও নানা মেগা প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের নানা দুর্ভোগ ও অনিয়মের চিত্র আমরা গণমাধ্যমে দেখেছি। সে ধারায় প্রধানমন্ত্রীর এই উচ্চারণ অন্যান্য প্রকল্পের ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্তদের অধিকারের বিষয়টি দ্রুত সমাধান হবে বলে আমাদের ধারণা।
বহুমুখী কর্মসূচির আওতায় কক্সবাজারের মহেশখালী-মাতারবাড়ি সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে ৩৭টি উন্নয়ন প্রকল্প চলছে। এর মধ্যে রয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কোল জেটি, এলএনজি টার্মিনাল এবং বহুমুখী সমুদ্র বন্দরসহ বিভিন্ন প্রকল্প। ৩৭টি প্রকল্পের মধ্যে ১৫টিতে জাপানি বিনিয়োগ প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রীর সামনে মহেশখালী-মাতারবাড়ির সার্বিক অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরা হয়। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনার সময় ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগের কথা উল্লেখ করেছেন।
প্রকল্প পরিকল্পনায় আরেকটি বিষয় মনে রাখা দরকার, তা হোল জনভোগান্তি। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, রাজধানীর মেট্রোরেল প্রকল্পের কথা। প্রকল্প চলার সময়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মানুষের পরিবেশ, দৈনন্দিন জীবন ও ভোগান্তির বিষয় উল্লেখ করার মতো একটি উদাহরণ। কতো দ্রুতসময়ে প্রকল্প শেষ করা যায় এবং প্রকল্প চলাকালীন কীভাবে ভোগান্তি কমিয়ে আনা যায়, তা পরিকল্পনায় রাখা খুবই জরুরি বলে আমরা মনে করি। আশাকরি বিষয়গুলো নিয়ে যথাযথ উদ্যোগী হবেন সংশ্লিষ্টরা।