নারায়ণগঞ্জে মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষণে ক্ষণে বাড়ছে মৃতদের সংখ্যা। লম্বা হচ্ছে স্বজন হারানোদের তালিকা। এখনো বহু মানুষের জীবন সংকটে। দগ্ধদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুয়াজ্জিনসহ আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ওই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ জনে।
এর আগে শুক্রবার রাতে জুয়েল নামে বছর সাতেক বয়সের এক শিশুর মৃত্যু হয়। নিহতদের শরীরের বেশিরভাগ শতাংশই পুড়ে যায়।
শনিবার সকালে মৃত্যুর সংখ্যা নিশ্চিত করেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি জানান, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ দগ্ধ আরও বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তাতে অর্ধশত মানুষ দগ্ধ হয়। যাদের মধ্যে গুরুতর ৩৬ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিটিউটে ভর্তি করা হয়েছিল।
এশার নামাজের সময় ঘটা ওই বিস্ফোরণে দগ্ধদের উদ্ধার করে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় তাদেরকে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিটিউটে ভর্তি করা হয়।
বিস্ফোরণে মসজিদের ভেতর আগুন জ্বলে উঠে এবং কাঁচ ভেঙে মুসল্লিরা আহত হয়। মসজিদের ভেতরের ৬টি এসি দুমড়ে মুচড়ে গেছে। ২৫টি সিলিং ফ্যানের পাখা বাঁকা হয়ে গেছে।
প্রাথমিকভাবে মসজিদের এসি থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে ধারণা করা হলেও পরে ফায়ার সার্ভিস জানায়, ওই মসজিদের নিচ দিয়ে যাওয়া গ্যাস পাইপ লিকেজের কারণে বিস্ফোরণ ঘটে।