চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

ক্লোয়িকে নিয়ে মাতামাতি নেই জন্মস্থান চীনে

অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের (অস্কার) ৯৩তম আসরে সেরা পরিচালক হয়েছেন চীনা বংশোদ্ভূত আমেরিকান নির্মাতা ক্লোয়ি ঝাও। ‘নোম্যাডল্যান্ড’ ছবির জন্য এই সম্মান উঠল তার হাতে। তিনিই প্রথম এশিয়ান বংশোদ্ভূত এবং প্রথম অশ্বেতাঙ্গ নারী পরিচালক যিনি এই পুরস্কার পেলেন।

অস্কারের ইতিহাসে সেরা পরিচালকের পুরস্কার পাওয়া দ্বিতীয় নারী নির্মাতা ক্লোয়ি ঝাও।

চীনের মেয়ে প্রথমবারের মতো সেরা পরিচালকের অস্কার জিতেছেন, এতে খুশির জোয়ার বয়ে যাওয়ার কথা দেশটিতে। কিন্তু ক্লোয়ি ঝাওকে নিয়ে কোনও মাতামাতিই নেই চীনে। দেশটির বাসিন্দারা সরাসরি অস্কার অনুষ্ঠানও দেখতে পারেননি। তাদেরকে দেখতে হবে রেকর্ড করে কাটছাঁট করা ভার্সন।

ক্লোয়ি ঝাও-এর অস্কার জয় নিয়ে চীনে মাতামাতি না হওয়ায় অবশ্য অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ, বিশ্ব মাতানো ‘নোম্যাডল্যান্ড’ ছবিটি এখনও চীনে মুক্তির অনুমতি দেয়া হয়নি। নানা বিতর্কে চীনে এটির মুক্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এমনকি চীনের সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সিনেমা সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু পোস্টও সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

পুরো বিশ্বে সমাদর পেলেও নিজ দেশে বিতর্কিত ক্লোয়ি ঝাও। এর পেছনে বেশ কিছু কারণ আছে। ২০১৩ সালে ম্যাগাজিনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্লোয়ি ঝাও বলেছিলেন, যখন তিনি টিনএজ ছিলেন চীনের সব জায়গা মিথ্যায় ভরা ছিল। গত বছরের ডিসেম্বরে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্লোয়ি ঝাও বলেন, আমেরিকাই এখন তার দেশ। পুরনো সেসব সাক্ষাৎকারগুলোই নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে অস্কারে তার ছবি মনোনয়নের পর।

অবশ্য অস্কার অনুষ্ঠানে ক্লোয়ি ঝাও চীনের কোনো ‘বদনাম’ করেননি। বরং হাসিমুখে জন্মভূমি চীনের প্রশংসা করেছেন তিনি।

চীনের মাইক্রোব্লগিং সাইট উইবোতে ক্লোয়ি ঝাও-এর নাম এবং ‘নোম্যাডল্যান্ড’ ‘ব্যান’ করে রাখা হয়েছে। ফলে ক্লোয়ির নাম এবং ‘নোম্যাডল্যান্ড’ লিখে সার্চ দিলে সঠিক ফল পাওয়া যাচ্ছে না।

তবে চীনের নাগরিকরা ‘অফিশিয়ালি’ ক্লোয়ি ঝাও’র অস্কার প্রাপ্তি উদযাপন করতে না পারলেও ‘আনঅফিশিয়ালি’ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অনেকেই।