করোনাভাইরাস মহামারীর ফলে বন্ধ থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যেকোনো সময় যেন খুলতে পারে সেভাবে প্রস্ততি নিতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
শিক্ষকরা জানান, সরকারি নির্দেশনা পাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানগুলো খোলার প্রস্তুতিতে তারা কাজ শুরু করেছেন। সরকারি বরাদ্দ না থাকলেও নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা করবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।
কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উন্নতি হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়ার জন্য ৪ ফেব্রুয়ারি মধ্যে প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। ২২ জানুয়ারির সেই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবস্থানের সময় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে এবং ৩ ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, বারবার হাত জীবাণুমুক্ত করাসহ অন্য স্বাস্থ্যবিধিগুলোও মানতে হবে।
এই নির্দেশনা পাওয়ার পর ১০ মাস পর শ্রেণিকক্ষগুলো খুলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করাসহ নানা ধরনের প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু করেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। পাশাপাশি সীমিত সংখ্যক শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাপে ধাপে বই বিতরণও চলছে।
মন্ত্রণালয় বলছে, স্বাস্থ্য বিষয়ে নির্দেশনা না মানলে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য নির্দেশনার মধ্যে ৩ ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, একসাথে অনেকের জমায়েতকে নিরুৎসাহিত করা, নির্দিষ্ট সময় পরপর নিয়মিত হাত ধোয়া হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার পালন করাসহ বিভিন্ন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
সারাদেশে প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত লেখাপড়া করছে প্রায় চার কোটি ৯০ লাখ শিক্ষার্থী। বিশাল এই জনগোষ্ঠির স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই করোনাকালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়।