দশ উইকেট দূর আকাশের তারা। তিন উইকেটে ৫০৪ রানে তৃতীয়দিন শেষ করা শ্রীলঙ্কা কোথায় থামবে, সেই চিন্তাই এখন শক্ত মাটির মতো বাস্তব সারাদিন বলকুড়ানো বাংলাদেশি বোলারদের কাছে।
পাটা উইকেটে টস জিতে বাংলাদেশ কতটা খুশি হয়েছিল, সেটা প্রথমদিন শেষে তামিম ইকবালের কথায় বোঝা গিয়েছিল। অথচ সেই বাংলাদেশ ৫১৩ রানে দশ উইকেট হারায়।
বাংলাদেশি বোলারদের প্রথম নাচনটা নাচান ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (১৭৩) এবং কুশল মেন্ডিস (১৯৬)। দুজনে দ্বিতীয় উইকেটে ৩০৮ রান যোগ করেন। রানের হিসেবে শ্রীলঙ্কার এটি অষ্টম সেরা জুটি।
দুজনকেই দুর্ভাগ্যের চাঁদ দেখতে হয়েছে। সিলভা ২২৯ বল খেলে মোস্তাফিজের বলে পুল করতে যেয়ে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দেন। ১৭৩ রান করার পথে ২১টি চার, একটি ছয় হাঁকান। মেন্ডিসের দুঃখটা আরও বড়। ডাবল সেঞ্চুরি থেকে মাত্র চার রান দূরে থাকতে ধরা পড়ে যান। তাকে ফেরান তাইজুল ইসলাম। ৩২৭ বলে ২২টি চার এবং দুটি ছয় হাঁকান তিনি।
যে যায় উইকেটে, সে হয় ‘রাজা’ প্রথম ব্যাটসম্যানকে বাদ দিয়ে বাকিদের ক্ষেত্রে এই কথা প্রযোজ্য। রোশেন সিলভাও শতকের কাছাকাছি চলে এসেছেন। দিন শেষ হওয়ার সময় ১৭৩ বলে ৮৭ রানে অপরাজিত আছেন। তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন ৩৭ রান করা দিনেশ চান্দিমাল।
গোটা দিন দৃষ্টিকটু ফিল্ডিং করে গেছে স্বাগতিকরা। লিটন কুমার দাস উইকেটের পেছনে সৃজনশীলতা দেখাতে ব্যর্থ। তিনটি ‘কঠিন’ সুযোগে (একটি রানআউটসহ) তিনি একটু বেশি তৎপরতা দেখাতে পারলে শ্রীলঙ্কা আরও চাপে পড়তো।
তাইজুল ইসলামকে দিয়ে সবচেয়ে বেশি বল করিয়েছেন অধিনায়ক রিয়াদ। দুইদিনে ৫১ ওভারের বেশি। ১৪৪ রান দিয়ে এক উইকেট পেয়েছেন তিনি। ৩৭ ওভার হাত ঘুরিয়ে উইকেটহীন সাঞ্জামুল। মোস্তাফিজ ২৫ ওভারে ৮৮ রান দিয়ে একজনকে ফেরান। মিরাজ ১৯ ওভারে এক উইকেট নিতে ৯৭ রান খরচ করেন।
শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস: ৫০৪/৩
(সিলভা ১৭৩ , মেন্ডিস ১৯৬, রোশেন ৮৭*, চান্দিমাল ৩৭*; মোস্তাফিজ ১/৮৮, সাঞ্জামুল ০/১২৮, মিরাজ ১/৯৭, তাইজুল ১/১৪৪)
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৫১৩
(মুমিনুল ১৭৬, মুশফিক ৯২, মাহমুদউল্লাহ ৮৩* তামিম ৫২, ইমরুল ৪০, সাঞ্জামুল ২৪; লাকমাল ৩/৬৮, হেরাথ ৩/১৫০, সান্দাকান ২/৯২, দিলরুয়ান ১/১১২।)।