প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ক্রেস্ট সিকিউরিটি লিমিটেডের পরিচালক মো. ওহিদুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর খিলক্ষেতের লেকসিটি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিএমপির রমনা গোয়েন্দা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক চ্যানেল আই অনলাইনকে জানান, ক্রেস্ট সিকিউরিটি লিমিটেডের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় প্রতারণার অভিযোগে মামলা ছিল। ওই মামলায় প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ওহিদুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে ওহিদুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত ৬ জুলাই নোয়াখালীর লক্ষীপুরের মাইজদি সীমান্ত এলাকা থেকে ক্রেস্ট সিকিউরিটি লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. শহিদুল্লাহ ও তার স্ত্রী নিপা সুলতানাকে গ্রেপ্তার করে ডিবির রমনা বিভাগ।
গত ২৫ জুন রমনা মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের বিও হিসাবধারী বিনিয়োগকারীরা
এর আগে গত ২৩ জুন বিনিয়োগকারীদের টাকা আত্মসাৎ করে গা ঢাকা দেয় শেয়ার ও ইউনিট বেচা-কেনার মধ্যস্থতাকারী ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের মালিকেরা।
ওইদিন থেকে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ রয়েছে। তাকে খুঁজে না পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ওই হাউজের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা বিনিয়োগকারীরা।
এই ঘটনার পরপরই বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তড়িৎ গতিতে পদক্ষেপ নেয়। তারা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ২ প্রতিনিধিসহ ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। যে কমিটি বিনিয়োগকারীদের অর্থ লুপাটের পরিমাণসহ বিস্তারিত তুলে ধরবে।
একইসঙ্গে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রি করলেও তারা কেনো মুঠোফোনে ম্যাসেজ পায়নি, এজন্য সিডিবিএলের কোন ঘাটতি আছে কিনা, তা অনুসন্ধান করবে।
এছাড়াও হাউজটির মালিকরা যেনো বিদেশে যেতে না পারে, সেলক্ষে ডিএসই থেকে পল্টন থানায় অভিযোগ করা হয়। একইসঙ্গে মালিকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার জন্য পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুরোধ করে। এখন তাদের ১০টির বেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে।