রাজধানীতে কোরবানির হাটে পশু আসতে শুরু করেছে। খামারিরা বলছেন, এবারো পর্যাপ্ত দেশী গরুর আমদানি রয়েছে। ক্রেতাদেরও নজর দেশী গরুর দিকে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবার প্রায় এক কোটি ১৫ লাখ পশুর আমদানি হবে। তাদের আশা দেশী গরু দিয়েই অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ সম্ভব।
কোরবানির ঈদ সামনে রেখে প্রতিবারের মতো এবারো রাজধানীর পশুর হাটে সপ্তাহের প্রথম থেকেই গরু, মহিষ উঠেছে। এবার গাবতলীর স্থায়ী হাটসহ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে হাট ২৩টি। গেলো বছরের চেয়ে এবার ৬টি হাট বেশি।
বাজারে দেশী গরুর প্রচুর আমদানি রয়েছে। তবে দাম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে। হাট শুরুর প্রথম দিকে স্বল্প পরিসরে পশু বেচাকেনা চলছে।
হাটে কিছু ভারতীয় ও নেপালি গরু থাকলেও ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় দেশী গরু। গাবতলীতে একটি উটের দাম হাকা হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা।
এবার প্রায় এক কোটি পশু কোরবানির চাহিদার বিপরীতে এক কোটি ১৪ লাখ ৭০ হাজার পশু রয়েছে। এর মধ্যে গরু-মহিষ ৪৪ লাখ ২০ হাজার ও ছাগল-ভেড়া রয়েছে ৭০ লাখ ৫০ হাজার। গেলো বছর ৯৬ লাখ পশু কোরবানি হয়েছে। পশু প্রস্তুত ছিলো এক কোটি ৯ লাখ।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডাক্তার মো. আইনুল হক জানান, শুধু পশুর হাটেই না, খামারগুলোও আমরা নিজেদের নজরদারীতে রাখছি। খামারিদের সম্পূর্ণ তালিকা আমাদের কাছে আছে।
হাটের নিরাপত্তায় বসানো হয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। হাটে হাটে টহল দিচ্ছে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা।