চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ক্রিকেট সম্পূর্ণ হতাশার খেলা: লিটন

সিলেট থেকে: যেভাবে ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন, জাগছিল বড় অর্জনের আশা। মনে হচ্ছিল, লিটন দাস বুঝি ডাবল সেঞ্চুরিই করে ফেলবেন। দুর্ভাগ্য তার, ছক্কা মেরে ১২৬ রানে পৌঁছানোর পর চোট পেয়ে আহত অবসর নিয়ে ফিরতে হয় সাজঘরে।

বাংলাদেশ ইনিংসের তখনও ৮২ বল বাকি। ডানহাতি ওপেনারের ‘দেড়শ-দুইশ’র সম্ভাবনা শেষ হয় হ্যামস্ট্রিংয়ে টান লাগায়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ১২০ স্ট্রাইকরেট নিয়ে ব্যাটিং করা লিটন আর নামতেই পারেননি মাঠে।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

মাঠ ছাড়ার সিদ্ধান্তকে যুতসই মনে করছেন লিটন। কেননা মঙ্গলবারই আবার মাঠে নামতে হবে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে। যে কারণে ইনিংসটা আরও বড় করতে না পারার আক্ষেপও উবে গেছে।

১৬৯ রানের বিশাল ব্যবধানে বাংলাদেশের জয়ের পর ম্যাচসেরা লিটন আসেন সংবাদ সম্মেলনে। এমনিতে অল্পকথার মানুষ হিসেবে সাংবাদিকরা তাকে জানলেও এবার তার মাঝে দেখা গেল বেশ পরিবর্তন। সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন অকপটে, করেছেন ব্যাখ্যা।

‘আমি যেটা বিশ্বাস করি ক্রিকেট হচ্ছে সম্পূর্ণ হতাশার খেলা। এক ম্যাচ রান করব, আরেক ম্যাচে করব না। একশ করলেও চিন্তা হয় আর দশটা রান যদি বেশি করতে পারতাম। ওইসব চিন্তা করলে অবশ্যই আক্ষেপ আছে। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় মাঠ ছেড়ে বাইরে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্তটা পারফেক্ট ছিল। সামনে ম্যাচ আছে। ওখানে ব্যাটিং করলেও হয়ত ৫ বলে আর ১০ করতাম। কিন্তু আউটের সম্ভাবনাটা বেশি থাকত। এই দিক থেকে জিনিসটা ভালো হয়েছে।’

‘বিপিএলের সময় বলেছি, আমার ম্যাচিউরিটি লেভেল আগের চেয়ে ভালো হয়েছে। ক্রিকেট খেলা দেখলে অনেক সময় বোঝা যায়। আমার ব্যাটিং দেখে হয়ত আপনারাও বুঝতে পারছেন যে লিটন দুইবছর আগে ছিলাম, সে লিটন এখন নেই। আউট হবো এটা স্বাভাবিক বিষয়। আউট হবো, রান করব। কিন্তু খেলার যে একটা ধরণ সেটা মনে হয় পরিবর্তন হয়েছে। আমি যতটুকু বুঝতে পারছি।’ ব্যাটিং করার ধরণে তো বটেই, কথাবার্তায়ও লিটনের মাঝে এসেছে অনেক পরিবর্তন। বোঝা যাচ্ছে সেটিও!