গত ২৪ নভেম্বর ২০১৯ রোববার বিকেল ৬.৩০ টার কাছাকাছি, রান্না ঘরে কাজ করছি। হঠাৎই মোবাইলে টুং টাং মেসেজ, তিনটা ছবি সাথে প্রশ্ন, দেখ তো চিনতে পারো কিনা! পাঁচ সেকেন্ড স্ক্রিনে তাকিয়ে আছি আর ভাবছি, ”ইহা আমি কী দেখছি’!? চোখ যদি ভুল না করে, বিশ্ববিখ্যাত আমি যার মন্ত্রমুগ্দ্ধ, লিজেন্ডারি ক্রিকেট বিস্ময়, ভালোবাসা। ছবিতে দেখা যাচ্ছে হাস্যোজ্জ্বল ট্যাক্সি ড্রাইভারের পাশে বসে তিনি হাসছেন।
সাথে সাথেই কল, ঘটনার বিবরণে সেই আবেগাপ্লুত গাড়ি চালকের কাছ থেকে যা জানা যায়, ক্যাসিনো মেলবোর্ন, ট্যাক্সি স্ট্যান্ডিং তিনি অপেক্ষারত ছিলেন। এলেন এক আফ্রিকান কালো মানুষ, ঘটনাচক্রে এর আগে দুই একটা খারাপ যাত্রী অভিজ্ঞতা হওয়ায় গ্লাস নামানোর পর যখন জিজ্ঞেস করলো, যাবে কিনা, মনের মাঝে একটা চাপা ক্ষোভ নিয়েই বললো ”ইয়েস” এবং সরাসরি না তাকিয়েই!
যাত্রী ভীষণ বিনয়ের সাথে পাশের সিটবেল্ট লাগিয়ে বসলেন এবং খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন..
হেই ম্যান হাউ আর ইউ, হোয়ার আর ইউ ফ্রম?
আই এম ফ্রম বাংলাদেশ।
ইউ?
আই এম ফ্রম ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ও! ডু ইউ লাইক ক্রিকেট?
ইয়েস আই ডু,
চালক মহা উচ্ছ্বাসে জানালেন ও, তুমি ভিভ রিচার্ড, ব্রায়ান লারার দেশের…
ডু ইউ লাভ ক্রিকেট, লারা ছাড়া তুমি আর কাকে পছন্দ কর ফ্রম ওয়েস্টইন্ডিজ?
এরপর… কথা আগাতে থাকে এবং এর মাঝেই যাত্রী মোবাইল বের করে দেখালেন ব্রায়ান লারা এখন মেলবোর্ন এবং উইকেন্ডে হতে যাচ্ছে তাঁরই একটা ইভেন্ট।
চমকের পর চমক, ক্রিকেট নিয়ে অনেক জানা সেই লোককে দেখে ট্যাক্সি চালক এবার রীতিমত মুগ্ধ, এবং সেই মুগ্ধতা নিয়ে জানালো, ‘ইউ নো হোয়াট, তুমি দেখতে অনেকটা ব্রায়ান লারার মত”!
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেই ভদ্রলোকের হাসি এবার প্রবল থেকে প্রবলতর। হঠাৎই জানালো, ”যদি বলি আমিই ”ব্রায়ান লারা” বিশ্বাস করবে”!?
এরপর আসলে কয়েক সেকেন্ডে ঘটনা ট্যাক্সি চালকের আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। সরাসরি তাকিয়ে নিজের ভিতরের সবটুকু উত্তেজনা লুকানোর ব্যর্থ চেষ্টা করে কেবলই মনে হতে থাকে ইস কতোটা সময় নষ্ট হয়ে গেল। তাঁকে চিনতে সময় নেয়াটাকে ঠিক কিভাবে সামাল দিয়ে বাকি সময়টুকু কাজে লাগানো যায় এবার সেইদিকেই করে মনোনিবেশ।
বাংলাদেশ ক্রিকেট ভালোবাসে এমন এক চল্লিশোর্ধ চালকের পাশে বসে আছেন ক্রিকেট লিজেন্ড ‘’ব্রায়ান লারা’’। যে ভেন্যুতে প্রোগ্রামটা হতে যাচ্ছে সেখানেই যাচ্ছে সে পরিদর্শনে। লারা বুঝতে পারে পাশে থাকা এই ভক্তের মনের অবস্থা এবং যা না হলেই নয়, হয়ে যায় একখানা জগতবিখ্যাত ‘’ফ্রেমবন্দি সময়’’।
স্বপ্নাতুর চালক কোনভাবে বলে উঠে, আমার ওয়াইফ তোমার আর শচিনের ভক্ত অনেক অনেক বেশী। ওর বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে তুমি প্রিয় ক্রিকেট হিরো। লারা, তাকে বিস্মিত করে বলে, আমি আমার বন্ধুর নাম্বার দিচ্ছি, এই ইভেন্টে তোমার পরিবার নিয়ে এসো। দেখা হবে আবার তুমি এলে।
ব্রায়ান লারা ভেন্যুতে নেমে যাওয়ার পরই প্রবল উত্তেজনা নিয়ে চালক ফোনটা আমাকে করে।
ও আচ্ছা প্রিয় পাঠক, বলা হয়নি এখনও, চালকের সাথে আমার যোগসুত্র কী, ইয়ে মানে আমার একমাত্র ছেলের বাবা এবং লারাকে তিনি আমার কথাই বলে এসেছেন।
ব্রায়ান লারার এই মেলবোর্ন সন্ধ্যা হতে যাচ্ছে ২৮ এবং ২৯ নভেম্বর’১৯। লারার বন্ধু মারফত আমরা জানতে পারি, আমাদের সাথে লারার দেখা করিয়ে দেবেন তিনি। তবুও আমি আশ্বস্ত হতে পারিনা। কারণ ইভেন্ট পেজে ঢুঁকে যখন দেখি, ভেন্যু, টিকেটের মূল্য এবং প্রোগ্রাম হোস্ট অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত উপস্থাপক ডিয়ানো #ProfDeano।
এর মাঝে আমার জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ‘পুত্র নভঃকে’ তার বাবার সাথের ছবি দেখিয়ে জিজ্ঞেস করি সে যেতে চায় কিনা। বলে নেই ছেলে আমার ফুটবলপ্রিয়, মানে সকার লাভার। ব্রায়ান লারা ক্রিকেটের সাথে কতখানি, কি বিষয় তাঁকে বলি ‘বাবা’ গুগল করে জেনে দেখ, জানাও যাবে কি যাবেনা।
নভঃ উচ্ছ্বাসের সঙ্গে হয় রাজি। আমি আর রিস্ক না নিয়ে সবচেয়ে কম মূল্যের যা আমাদের পক্ষে সম্ভব তিনটা টিকেট কিনেই ফেলি। লারার বন্ধু ঠিক কি করবেন বা কতটুকু করবেন না ভেবেই।
২৮ নভেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার, প্রোগ্রাম সন্ধ্যে ৭টায় শুরু, ছেলে এবং ওর বাবা আমাকে অফিস শেষে উঠিয়ে নিয়ে ভেন্যুতে পৌঁছাতে একটু দেরি হয়েই যায়।
অডিটোরিয়ামে ঢুকেই দেখি মঞ্চজুড়ে লারা এবং উপস্থাপক প্রশ্ন করে চলেছেন। লারা ঝকঝকে পরিচ্ছন্ন ইংরেজিতে, কিছুটা বুদ্ধিমত্তা এবং রসবোধ দিয়ে একের পর এক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যাচ্ছেন।
উপস্থাপক অডিটোরিয়ামে থাকা দর্শকদের মাঝে এমন কেউ আছেন কিনা জানতে চান যার ১০ বা ১১ জন ছেলেমেয়ে। উঠে আসে ১১ ভাই বোন নিয়ে লারার পরিবারের কথা…
লারা বলতে থাকেন, তাঁর বেড়ে উঠার গল্প। তিনি এবং তাঁর বড় ভাই মূলত ক্রিকেট ভালোবাসতেন। স্কুলের মাঠ, বাড়ির আঙ্গিনা, গ্যারেজ সবখানেই সেই ভাইকে মোকাবেলা করা শিখতে শিখতেই লারা।
লারা যখন বলতে থাকেন, স্কুলের পড়া দিনগুলোতে তাঁর বাবা মায়ের শাসন বা শৃঙ্খলার কথা, আমার মনে হতে থাকে এ যেন খুব চেনা নিজের দেশের কারো গল্প শুনছি। স্কুল থেকে ফিরে বিকেলের খেলার পর সন্ধ্যায় পরদিনের পড়ার প্রস্তুতি নিয়ে ঘুমাতে যেতে হবে, কিন্তু এর মাঝে রেডিওতে ক্রিকেট শুনার উপলক্ষ থাকলে সে বা তাঁর ভাইয়েরা কিছুতেই মিস করতেন না। অল্প সাউন্ডে শুনছেন, এর মাঝেই হয়তো দেখা গেল বাবা উঠে আসছেন খোঁজ নিতে। রেডিও বন্ধ করে সবকিছু দ্রুত স্বাভাবিক করে ফেলতেন এবং বাবা চলে যাওয়ার পর চুপি চুপি বাবার ঘরের দিকে যেয়ে শোনা যেত বাবাও শুনছেন ‘’ক্রিকেট’’। এমন এক স্পোর্টস লাভিং পরিবারেই জন্ম এবং ক্রিকেট নিয়ে বেড়ে উঠা।
মূলত কথোপকথনে উঠে আসে অস্ট্রেলিয়া খেলতে আসা বিভিন্ন অভিজ্ঞতা। কোন এক সফরে, অস্ট্রেলিয়ান টিমের কজনের সাথে টুর্নামেন্টের আগের রাতে ডিনার করছেন, আইটেম যা নিজের জন্যে বাছাই করেছেন তার মাঝে আছে ডাক রোস্ট, তাই নিয়ে হাসাহাসি। পরদিন কে ডাক হতে পারে মাঠে, ডাক দিয়ে ডিনার, ডাক হতে পারেন এমন বিশ্বাসে যে ক্রিকেটার হাঁস খাওয়া থেকে বিরত হতে বলেছিলেন, তিনিই কিনা… লারা বলার ভঙ্গিতে হাসির রোল, ওঁর রসবোধের বিষয়ে আমার কোন ধারণাই ছিলো না।
লারা ক্রিকেটের এক সময়ের বরপুত্র, রেকর্ডের পর পর রেকর্ড স্ক্রিনে উঠে আসে। উপস্থাপক জানতে চান নেপথ্যের সব অজানা কথা। লারা এত সুন্দর বলেন বা বলতে পারেন আমি হই নুতন করে মুগ্ধ।
খুব স্বাভাবিকভাবেই উঠে আসে কোন বোলারকে ফেইস করতে গিয়ে বেশী ভাবেন, বা তাঁকে ভাবাতে পারেন কিনা।
উঠে আসে সেঞ্চুরির আগে কোন রান নাম্বারে হয়ে যেতেন কিনা নার্ভাস। রেকর্ড যা বলে, জানালেন একদমই না। তারপরও কি চলতো মনে বা কোচের কোন কথা মাথায় রাখতেন।
যা না বললেই নয়, প্রসঙ্গ এবার শচিন-লারা। লারার সাথে শচিনের বন্ধুত্ব সবার জানা। উপস্থাপক নিয়ে এলেন সেই সম্পর্ক এবং তার বাইরের কথা। নিজেদের মাঝের তুলনা, মিডিয়া আলোচনা সব ছাপিয়ে লারার কন্ঠে শচীনের জন্যে সমীহ এবং বন্ধুত্বই উঠে আসে।
পর্দায় ভেসে উঠে শচিন এবং এই সময়ের ভারত অধিনায়কের মুখ, কাকে কিভাবে মূল্যায়ন করবেন বা কে বেষ্ট তাঁর দৃষ্টিতে।
লারা বলেন, দেখুন আপনি যদি বলেন পেলে না ম্যারাডোনা, রোনালদো না এই সময়ের মেসি… না এঁরা একেক সময়ের একেক জন সেরা, তাঁদের স্বমহিমায় পাওয়ারফুল। তবে শচিন আমার কাছে ক্লাসিক, সব সময়ের সেরা কেউ।
পুরো ক্যারিয়ারে খারাপ সময় এসেছে। কিভাবে তা অতিক্রম করেছেন সেই অনুভবও শেয়ার করেন তিনি। ক্রিকেট বন্ধু, পরিবার, দেশ, কোচ কে কিভাবে তাঁকে শক্তি সাহস দিয়েছেন সে বিষয়ও তুলে ধরেন আবেগ দিয়ে।
একবার পাকিস্তানি বোলার শোয়েব আক্তারকে খেলতে গিয়ে হেলমেট ছুঁয়ে ঘাড়-মাথার মাঝামাঝি একটা জায়গায় বল লেগে ধরাশয়ী হয়েছিলেন। খুব খারাপ কিছু হতে পারতো, সেই দিনের ভয়ঙ্কর স্মৃতিতেই উঠে আসে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার হিউজের চলে যাওয়ার কথা। লারার তেমনটি হয়নি।
উপস্থাপক যখন বলতে থাকেন, পুরো হল জুড়ে কেমন একটা বিষণ্ণতা ছড়িয়ে পড়ে, যেন সমবেত দর্শক কিছু না বলেও এমনই বলতে থাকেন, লারা ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন তবু আজও আছেন সেই ক্রিকেটেই, এই বিশাল প্রাপ্তি।
লারার মেয়ে, নাম কিনা সিডনী, সেই কন্যার সাথে বাবার এক ছবি যখন ভেসে উঠে পর্দায়। উপস্থাপক মজাচ্ছলে বলে উঠেন, তাও ভালো তোমার মেয়ে সিডনি, আফগান বা পাকিস্তান না!!
দুই ঘন্টার এই ইন্টারভিউ সেশন প্রায় শেষ, এবার মঞ্চে ঘোষণা, লারার এই শোতেই আছে বেশ কিছু ক্রিকেট সামগ্রী, উঠে আসছে অকশনে, ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্যে আজই সুযোগ থাকছে এই বিশেষ সংগ্রহের কিছু কিনে তাঁর অটোগ্রাফ সহ বিশেষ ছবি উঠানোর এবং এর বাইরে যারা শুধু বাড়তি টাকা দিয়েছেন ফটো সেশনের জন্যে মঞ্চের কাছে কিউতে দাঁড়াতে।
এবার আমাদের ফেরার পালা, আমি জানিনা লারার সেই বন্ধু আসলেই আমাদের জন্যে কিছু করবেন কিনা, যদিও মেসেজ পাঠিয়েছেন অপেক্ষা করতে। গোটা ৩০০/৪০০ মানুষের মাঝে অকশনের পর শতেক মানুষ শুধু অডিটোরিয়ামে থাকছেন, সিকিউরিটি এসে আমাদের জিজ্ঞেস করছেন আমরা কি কিছু কিনেছি বা ফটোসেশন বুক করেছি কিনা!
আমি জানাই অল্প কথায় ফ্যাক্ট, সিকিরিটি বলেন অপেক্ষা করতে। আমাকে বিস্মিত করে লারার বন্ধু আসেন। ফটোসেশনের লম্মা কিউতে আমাদের ইন করিয়ে দিয়ে বিশেষভাবে বলে দেন দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিকে।
কিউতে থাকা আমাদের সামনে পেছনে দুই একজন নভর বাবার মোবাইলের ছবিটা দেখেন। কথা প্রসঙ্গে নভ’র বাবা যখন ওদের বলে লারা ওর ট্যাক্সিতে ৩০ মিনিট ছিলেন, অস্ট্রেলিয়ান এক ক্রিকেট ভক্ত তরুণ বিস্ময় নিয়ে বলেন, বল কি, তুমি তো ওয়ান অব দ্যা ওয়ার্ল্ড লাকিয়েস্ট ড্রাইভার ইন দ্যা আর্থ …
আমাদের পালা এলো, প্রবল উত্তেজনা, সিকিউরিটির হাতে মোবাইল দিয়ে কোন ভাবে তাঁর পাশে যেয়ে দাঁড়ালাম। আমি ঠিক কি বলবো অনেকবার মনে মনে গুছিয়ে গেলেও হঠাৎ যেন কথারা সব হারায় খেই। তারপরও বলি, আমি বাংলাদেশের ক্রিকেট ফ্যান, আমি ক্রিকেট ভালবেসেছিলাম তুমি ও শচীনের জন্যে। এবং জানো কী বাংলাদেশে তোমার অনেক ফ্যান।
যারা ছবি উঠাবে তাঁরা পড়ে যায় বিপদে, আমি কথা বলছি, ছবি তো একটাও ঠিক মত আসছেনা, আমি কোনভাবে বলি অটোগ্রাফ প্লিজ…
লারা পুরো মুখে অমায়িক এক হাসি ধরে রাখে। আমার পুত্র নভ’কে কাছে টেনে নিয়ে ছবি উঠায়, নভর বাবাকে বলে আমি তোমাকে চিনেছি, ফ্যামিলি নিয়ে এসেছ খুশি হয়েছি।
আমি চলে যেতে যেতে বলি, ভালো থেকো তুমি, বেষ্ট উইশেস ফর ইউ অলওয়েজ। লারা আমাদের ফিরে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে যেন অনেক কথাই বলে যায়, কোন কথা না বলি!
লারার বন্ধুকে খুঁজে নিয়ে ধন্যবাদ দিতে ভুলে যাই না। বলি, সুযোগ থাকলে আমি লাঞ্চ বা ডিনারে বলতে চাই ওকে। ও মজা করে বলে, তুমি ডাল পুরী , ছোলা ভাটুরা বানাতে পার। তোমাদের এইসব খাবার আমাদের পছন্দ। আমি বলি পারি না, বাসায় এলে শিখে নেব বৈকি।
না, ব্যস্ত এই সফর শেষে সিডনি হয়ে ফিরে গেছেন লারা দুই দিন পরই। ক্রিকেট ভালোবেসে তাঁর এই জার্নি চলতে থাকুক ক্রিকেট বিশ্বকে মাতিয়ে, শুভ হোক তাঁর আগামীর সব মিশন! আমি মনে রাখবো আমৃত্যু স্বপ্ন সন্ধ্যার এইটুকুন সময়।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)