জাতীয় ক্রিকেট কোচ ও স্বনামধন্য ক্রিকেট লেখক জালাল আহমেদ চৌধুরী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের (কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন মৃত্যুর খবরটি।
বিকাল ৩টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বাদ আছর আরেকটি জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে চিরশায়িত করা হবে।
জালাল আহমেদের মৃত্যুতে ক্রিকেটাঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। অভিভাবকতুল্য এই ব্যক্তিত্ব ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছিলেন।
চলতি মাসের ১ তারিখে শ্বাসকষ্টের কারণে প্রথমবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন। কিন্তু স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায় ১৫ সেপ্টেম্বর আবারও হাসপাতালে ভর্তি করা হয় জালাল আহমেদকে।
দ্বিতীয় দফায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর আর উন্নতি ঘটেনি শারীরিক অবস্থার। ক্রমেই অবনতি ঘটতে থাকে। গত শুক্রবার থেকে রাখা হয় ভেন্টিলেশনে, ছিলেন আইসিইউতে। ফুসফুসের সংক্রমণ ও শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগে শেষপর্যন্ত চলে গেলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় ক্রীড়াব্যক্তিত্ব।
খেলোয়াড়ি জীবনে ছিলেন দুর্দান্ত ক্রিকেটার। ষাটের দশকের মাঝামাঝি থেকে সত্তর দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত খেলেছেন ঢাকা ক্রিকেট লিগে। তারপর শুরু করেন কোচিং ক্যারিয়ার। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেট প্রশিক্ষক হিসেবে ভারতের পাতিয়ালায় উচ্চতর কোচিংয়ের ট্রেনিং কোর্স সম্পন্ন করেছিলেন।
পরে মোহামেডান, ধানমন্ডি ক্লাব, কলাবাগানসহ ঢাকার বেশ কয়েকটি শীর্ষ ক্লাবে কোচিং করান। কয়েক বছর আগেও মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, মোহাম্মদ আশরাফুলদের কোচ হিসেবে ক্লাব ক্রিকেটে কাজ করেছেন। দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ জালাল আহমেদ। যিনি ছিলেন একাধারে ক্রিকেটার, প্রশিক্ষক, আম্পায়ার ও ক্রীড়া লেখক হিসেবে প্রশংসাধন্য।