সাউথ আফ্রিকা বনাম ইংল্যান্ডের টেস্ট ম্যাচের ফলাফল জানার জন্য হয়তো আপনি স্কোরশিটে চোখ বোলালেন। সেখানে আপনি আটকে গেলেন ইংলিশ ক্রিকেটারদের নামে এসে। একি! নামের তালিকায় দেখলেন রুটি, শেফ, মো কিংবা গাজ্জা! ঘাবড়ানোর কিছু নেই। এক অর্থে নামগুলো সত্যিই ইংলিশ ক্রিকেটারদের। ডাকনাম।
ইংলিশ নতুন অধিনায়ক জো রুটকে ডাকা হয় রুটি নামে। আর তারই পূর্বসূরি অ্যালিস্টার কুককে ডাকা হয় শেফ নামে।
শুধু তাই নয়, গ্যারি ব্যালান্সকে সতীর্থরা ডাকেন গাজ্জা বলে!
বাংলাদেশি ক্রিকেটারদেরও আছে মজার কিছু নাম। সাবেক টাইগার ব্যাটসম্যান জাভেদ ওমরের ডাক নাম যেমন গুল্লু। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে একসময় ডাকা হত ময়না নামে। আব্দুর রাজ্জাক ‘লাল্লা’।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেহের সঙ্গে মিল রেখেও ডাক নাম বের হয়ে আসে। ইনজামাম-উল-হক ক্রিকেটবিশ্বে পরিচিত ইনজি নামে। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না তার আরেক নাম আলু! বিশাল দেহ কাঠামো, গোলগাল চেহারাটাই তার আলু নামের যথার্থতা প্রমাণ করে। ভারতীয় উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান পার্থিব প্যাটেল যেমন শিশুসুলভ চেহারার জন্য হয়ে গেছেন ‘বাচ্চা’।
পাকিস্তানি পেসার ওমর গুলকে কোনভাবেই ধীরগতির বোলার বলা চলে না। অথচ তাকেই কিনা বলা হয় পেশোয়ারের রিকশা! আসলে বোলিং অ্যাকশনে দৌড় দেয়ার সময় অদ্ভুতভাবে ছোট্ট এক লাফ দেন গুল, হঠাত দেখলে মনে হবে রিকশা চালাচ্ছেন। তাই সতীর্থরা তাকে আদর করে ডাকেন রিকশা গুল নামে। আর অদ্ভুত সরু দুই পায়ের কারণে গ্লেন ম্যাকগ্রার ডাক নাম ছিল পিজিওন বা কবুতর।
একজন বোলার হিসেবে শূন্য রানে আউট হওয়া দোষের কিছু নয়। কিন্তু সেটা যদি হয় টানা সাত ম্যাচে। তাহলে তো ব্যতিক্রমই। ভারতীয় সাবেক পেসার অজিত আগারকার আছেন এই তালিকায়। তাই ড্রেসিংরুমে নাম পেতেও দেরি হয়নি, ‘বোম্বে ডাক’!