চলমান এই বিশ্বে ক্যারিয়ারে সফল হতে হলে শুরুটা করতে হবে ধীরে। তাহলেই কর্মজীবনে সফলতার ক্ষেত্রে সেটা কাজে আসবে ব্যাপকভাবে। স্বস্তিতে দিন শুরু করলে সৃজনশীল চিন্তার প্রকাশ ঘটবে এমনটাই জানিয়েছেন ওয়ার্ল্ড ইন্সটিটিউট অব স্লোনেসের প্রতিষ্ঠাতা গেয়ার বার্থেলসেন।
ধীরগতি কিন্তু অলসতা বা ধীরতার কাছে আত্মসমর্পন নয় বরং সেখানে কারণের, উচ্ছ্বলতার ও ভারসাম্যের প্রশ্ন বিদ্যমান। ধীরতা ভালো জীবনের জন্য সময়, দক্ষতা, কাজের ধরণ, ধরণের প্রয়োগ, ব্যবস্থাপনা এবং দায়িত্বের বিষয়। এমনটাই বক্তব্য ডব্লিউআইএসের ওয়েবসাইটের।
ধীরতার ধারণার অর্থ হলো সুস্থ ও ধীর পৃথিবী তৈরির জন্য আমাদের কিভাবে চিন্তা করা উচিত। জেনে নিন ধীরে ধীরে সফলতার পথে যাওয়ার ৫টি উপায়।
ধীরে শুরু করুন
ঘুম থেকে উঠেই ফোনে হাত দেওয়ার আগে একটু থামুন। শান্তিতে বসে আগে নিজের চা বা কফিটা খান অথবা কিছুক্ষণ যোগব্যায়াম করুন মানসিক চাপ কমানোর জন্য। তারপর ফোনের বা ডিভাইসের কাছে যান।
স্নুজ বাটনে চাপ দিবেন না
সকালে ঘড়িতে এলার্ম বাজলেই বারবার স্নুজ করে দেন! গবেষণা বলছে এতে ভালো ঘুমে প্রভাব পড়ে। মস্তিস্কও বিভ্রান্ত হয় কখন উঠতে হবে আর কোনটা স্বাভাবিক ঘুমের চক্র সেটা বুঝতে। তার থেকে বরং যখন উঠা দরকার তখনই এলার্ম ঠিক করুন। দরকার হলে ঘরের বাইরে কোথাও রেখে আসুন। যেন আপনাকে হেঁটে গিয়ে সেটা বন্ধ করতে হয়।
স্বাস্থ্যকর নাস্তা
সকালের জন্য আগের রাতেই কোনো স্বাস্থ্যকর নাস্তা তৈরি করে রাখুন। তাতে করে পরদিন সকালে সময় বাঁচবে অনেকটা। সময়ের তাড়ার মধ্যে খাবার কি তৈরি হবে সেটা ভাবতে গেলেই দুশ্চিন্তা বাড়ে। আর আগে থেকে বানিয়ে রাখলে কাজের আগে আগে চিন্তার পরিমাণটা কম হবে। স্বাস্থ্যকর নাস্তা কাজে মনোযোগ দিতে সাহায্য করবে, আপনাকে শক্তি দেবে এবং পরিমিত ক্ষুধা দেবে।
পানি খান
‘সকালের আশ্চর্য’ সম্পর্কে শুনেছেন? লেখক হাল এলরড ছয়টি সেরা অভ্যাসের কথা বলেছেন যেগুলো সকালে পালন করলে আপনার জীবন বদলে যাবে। তার একটি হলো ঘুম থেকে উঠে আগে একগ্লাস পানি খাওয়া। ঘুমানোর পরে শরীরের জলীয় অংশ কমে যায়। তাই এই এক গ্লাস পানিকে সকাল সকাল আপনার অঙ্গের গোসল হিসেবে ধরে নিন।
প্রস্তুত থাকুন
আগে থেকেই তৈরি থাকলে সকালবেলা সিদ্ধান্ত নেবার কষ্ট কমবে। আর কাজে যাওয়ার আগে আগে আপনাকে প্রস্তুতও দেখাবে। নিজের পোশাক ঠিক করে রাখুন, দুপুরের খাবার তৈরি করে রাখুন আর আগের রাতেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন।
দেখবেন ধীরে হলেও সফলতা আসবে।