চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

‘ক্যারিয়ারের সোনার হরিণ কৃষিতে’

ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি আয়োজিত ন্যাশনাল ক্যারিয়ার কনফারেন্সে শাইখ সিরাজ

‘কৃষিই হবে আগামীর লোভনীয় নিশ্চয়তার ক্যারিয়ার। কারণ ভবিষ্যত পৃথিবীর কৃষি হবে শিল্পায়িত কৃষি। উন্নত দেশগুলোতো সে দিকে এগিয়েই যাচ্ছে। বাংলাদেশও সে দিকেই হাঁটছে।’

শনিবার রাজধানীর ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি আয়োজিত ন্যাশনাল ক্যারিয়ার কনফারেন্সে তরুণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে উন্নয়ন সাংবাদিক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ এসব কথা বলেন।

তিনি যোগ করেন, একটা সময় কৃষি মানেই ছিলো ধান চাষ আর পাট চাষ। এর বাইরে কৃষির কথা কেউ কল্পনাও করতো না। প্রতিটি বাড়িতেই হাঁস-মুরগি পালন হতো একেবারে পারিবারিক পর্যায়ে। পুকুরে মাছ চাষের ছিলো না বাণিজ্যিক কোন রূপ। বাড়ির প্রাঙ্গণে লাগানো লাউ-কুমড়ার গাছ থেকে মেটাতো সবজির চাহিদা। সেই কৃষিতে এখন যেমন বৈচিত্র্য এসেছে, বেড়েছে প্রযুক্তির ব্যবহার, তেমনই পাল্টেছে কৃষকের চেহারা।

‘চেহারা বলছি এই কারণে, আগে কৃষক বললেই চোখে ভাসতো গায়ে ছেঁড়া গেঞ্জি, মাথায় গামছাবাঁধা রুক্ষ একটা মুখের আদল। কিন্তু এখন আর কৃষকের সেই রূপ নেই। কৃষক এখন স্মার্ট, প্যান্টশার্ট পরা ফিটফাট। কারণ আধুনিক কৃষি সাহেবি কৃষি, প্রযুক্তি কৃষিকে সেখানে নিয়ে গেছে। ভবিষ্যতের কৃষি হবে আরও প্রযুক্তিনির্ভর, আরও আধুনিক। আর তার জন্য প্রস্তুত হতে হবে তোমাদের মতো তরুণদের। ক্যারিয়ারের সোনার হরিণ কিন্তু এই কৃষিতেই।’

শাইখ সিরাজ নিজের ক্যারিয়ার শুরু করার সময়ের স্মৃতিচারণ করে বলেন, টেলিভিশনে নাটক সিনেমা কিংবা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মতো নানা বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের পাশে কৃষি ও কৃষক নিয়ে অনুষ্ঠান নির্মাণ করেই কিন্তু আজ আমি তোমাদের সামনে বক্তব্য রাখার জন্য আমন্ত্রিত হয়েছি। এই চ্যালেঞ্জটা কিন্তু ছিলো আমার ক্যারিয়ারে। আমি সেই চ্যালেঞ্জটা অতিক্রম করেছি। যে ক্যারিয়ারে চ্যালেঞ্জ নিতে পারে সেই উদ্যোক্তা। এই হিসেবে প্রতিটি কৃষকই উদ্যোক্তা।

তিনি আরও বলেন, শুধু কৃষি নিয়ে পড়াশোনা করেই কৃষিতে ক্যারিয়ার গড়তে হবে এমন কিন্তু নয়। যে কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে পড়েছো, সে কৃষি নিয়ে অ্যাপ তৈরি করতে পারো। যে বিবিএ পড়ছো, সে কৃষি বিপণন নিয়ে কাজ করতে পারো। কৃষি নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্র বিশাল। শুধু তোমাকে বেছে নিতে হবে কী নিয়ে তুমি কাজ করবে।

শাইখ সিরাজ বাংলাদেশে কৃষিতে সফল উদ্যোক্তাদের উদাহরণ দিয়ে তরুণদের কৃষিতে ক্যারিয়ার গড়তে উজ্জীবিত করে বলেন, নতুন প্রজন্ম তাদের মেধা ও মননের বিনিয়োগ কৃষিতে করলে সাফল্য আসবেই, সেই সাথে সমৃদ্ধ হবে সমাজ ও রাষ্ট্র।

দিনব্যাপী এ কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।