৪৩ রানে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে কিছুটা আশার সঞ্চার করেছিলেন বোলাররা। কিন্তু খানিক পরই ম্যাচের চিত্রটা পাল্টাতে লাগল। ক্যারিবীয় ঝড়ে অসহায়ত্ব বরণ করে ৫ উইকেটে ম্যাচ হারল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টুয়েন্টিতে বাংলাদেশের দেয়া ১৬৪ রানের লক্ষ্য ১০ বল হাতে রেখেই টপকে গেছে ওয়েষ্ট ইন্ডিজ।
টেস্টের পর টি-টুয়েন্টি সিরিজও ২-০ ব্যবধানে জিতে নিল ক্যারিবীয়রা। প্রথম টি-টুয়েন্টি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছিল। সামনে রয়েছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ।
উইন্ডিজ ওপেনার কাইল মেয়ার্স ৩৮ বলে ৫৫ রান করে আউট হন। দুটি চার ও পাঁচটি ছক্কা হাঁকান এ ওপেনার।
শেষ পর্যন্ত তান্ডব চালিয়ে যান নিকোলাস পুরান। ৩৯ বলে ৭৪ রানে অপরাজিত থেকে খেলা শেষ করেন। মারেন পাঁচটি করে চার-ছক্কা।
নাসুম আহমেদ সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নিলেও ছিলেন খরুচে। এ বাঁহাতি স্পিনার ৪ ওভারে দেন ৪৪ রান। সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান ও আফিফ হোসেন নেন একটি করে উইকেট।
বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুটা করে দিয়েছিলেন ওপেনার লিটন দাস। পরে আফিফ হোসেন ধ্রুব চার নম্বরে নেমে ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব সামলান দারুণ। দুই ব্যাটার মিলে এনে দেন লড়াই করার পুঁজি।
টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে টিম টাইগার্স ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৬৩ রান। লিটন ৪১ বলে ৪৯ রান করে আউট হন। মারেন তিনটি চার ও দুটি ছক্কা। ব্যক্তিগত ফিফটি ও দলগত একশ থেকে ১ রান দূরে থাকা অবস্থায় আউট হন।
এনামুল হক বিজয় ও লিটনের ওপেনিং জুটিতে আসে ৩৫ রান। লিটন দারুণ ব্যাট কলে গেলেও ২২ গজে ছন্দে ছিলেন না বিজয়। ১১ বলে ১০ রান করেন তিনি। সাকিব আল হাসান নেমে প্রথম বলে বাউন্ডারি মারলেও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ৩ বলে ৫ রানে ফিরতে হয় তাকে।
মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৬ বলে ১০ ও নুরুল হাসান সোহান ২ বলে ২ রানে অপরাজিত থাকেন। দুটি উইকেট নেন হেইডেন ওয়ালশ।