বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে পুলিশ ঢোকার অনুমতি দিলেন কেন? জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে এই প্রশ্ন রেখেছেন আমেরিকান চিন্তাবিদ ও অধ্যাপক নোয়াম চমস্কি।
জেএনইউ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জগদীশ কুমারকে পাঠানো ই-মেইলে চমস্কি লিখেছেন, সরকার নিজেই এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতির জন্য দায়ী। ক্যাম্পাসে ছাত্ররা এমন কিছু করেননি, যে কারণে পুলিশ ডেকে আনতে হবে।
তিনি লিখেছেন, ‘আমরা অনেকেই জেএনইউ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র বিক্ষোভ নিয়ে চিন্তিত। এটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সরকারেরই তৈরি করা। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরির কোনো প্রমাণ নেই। আইনি প্রয়োজন ছাড়া আপনি কেন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পুলিশ ঢুকতে দেবেন?’
যদিও উপাচার্য জগদীশ কুমার জানান, ‘আমি কখনই শিক্ষাঙ্গনে পুলিশ ডাকিনি। শুধুমাত্র পরিস্থিতির জন্য যা সহায়তা দরকার ছিল, তা চেয়েছি।’
চমস্কি ছাড়াও নোবেলজয়ী লেখক ওরহান পামুক ও বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য ৮৬ জন শিক্ষাবিদ সমালোচনা করেছেন উপাচার্যের এই আচরণের। বাক-স্বাধীনতার প্রশ্নও তুলেছেন তারা।
জেএনইউ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সভা নিয়ে বাক-বিতণ্ডা হয়, তার জের ধরেই বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব তদন্ত কমিটি গঠন করার পর কানহাইয়া কুমারসহ সাত ছাত্রকে কলেজ থেকে নিষিদ্ধ করে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ও দেশ বিরোধী স্লোগানের অভিযোগে পুলিশ কানহাইয়া কুমারকে গ্রেফতার করে।